প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়া দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের রাস্তা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির সাব-ইন্সপেক্টর আতিকুর রহমান রমনা মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। রমনা মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্নপেক্টর নিজাম উদ্দিন ফকির এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- দীন ইসলাম ওরফে বাদল ও কবির হোসেন দেওয়ান।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল বিকেল পাঁচটার দিকে ডিএমপি মিডিয়া পাবলিক রিলেশন সেন্টারের নিউজরুমের ই-মেইলে ইংরেজিতে একটি মেইল আসে। সেখানে লেখা, ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোর চারটায় গুলি করা হবে। পুলিশের ক্ষমতা নেই সেই হামলা ঠেকানোর। পরে কাজ শুরু করে সিটিটিসি। মেইল পর্যালোচনা করে তারা জানতে পারে, হুমকির বার্তা প্রদানকারীদের অবস্থান তখন সৌদি আরবে ছিল।
আবেদনে বলা হয়, দীন ইসলাম সন্ত্রাসী কার্যের সঙ্গে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি ঘোষণা করে নানামুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এই অবস্থান নিয়ে তিনি দেশে ও বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে, যা সারাবিশ্বে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। দেশের জননিরাপত্তা বিপন্ন করতে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের সরকারপ্রধানকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করার উদ্দেশ্য ছিল তাদের।
দীন ইসলামসহ ঘটনায় জড়িত সন্ধিগ্ধ গ্রেপ্তার আসামি কবির হোসেন পরস্পরের যোগসাজসে প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করে হত্যার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে মর্মে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :