লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে টঙ্গীর তুরাগ তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। গতকাল ভোরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হয়। আজ শনিবার সারাদিন ঈমান ও আমলবিষয়ক বয়ানের পর আগামীকাল রবিবার অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে শনিবার বাদ ফজর মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান, তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন।
বাদ জোহর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইসমাইল গোদরা। বাদ আসর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা জুহাইরুল হাসান। বাদ আসর যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।
গতকাল সকাল থেকেই জুমার নামাজের জন্য লোকসমাগম ঘটতে থাকে। ইজতেমা মাঠে স্থান না পেয়ে অনেকে মহাসড়ক ও অলিগলিতে পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হয়েছেন। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেশ কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জুমার জামাতে ইমামতি করেন বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের শুরা সদস্য, শীর্ষ মুরব্বি কাকরাইল মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের। রবিবার আখেরি মোনাজাতও তিনিই পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন তাবলিগ জামাতের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান।
ইজতেমা ময়দানে জুমার খুতবা পাঠ শুরু হয় দুপুর ১টা ৩৭ মিনিটে। দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে জুমার জামাত শুরু হয়ে শেষ হয় ১টা ৫১ মিনিটে। ইজতেমার মূল প্যান্ডেল ছাপিয়ে ময়দানের চারদিকে সব রাস্তাঘাটেও মুসল্লিরা জুমার নামাজে শরিক হন।
গতকাল ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাবলিগ জামাতের ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা। শুরুতে ঈমান, আমল, আখলাক, দাওয়াত ও তাবলিগ সম্পর্কে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাটলা। তার উর্দু ভাষার বয়ান বাংলায় তরজমা করে শোনান বাংলাদেশের মাওলানা নুরুর রহমান।
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশে বয়ান করেন ভারতের আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. সানাউল্লাহ। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বয়ান করেন পাকিস্তানের রাইবেন্ডের ডা. মো. নওশাদ এবং খাস বা বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য বয়ান করেন ভারতের দিল্লির মাওলানা আকবর শরীফ।
জুমার পর বয়ান করেন তাবলিগের জর্দানের জিম্মাদার শেখ ওমর। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা জাকির হোসেন।
আয়োজকরা জানান, ইজতেমায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের তাবলিগ মারকাজের শুরা সদস্যরা ও মুরব্বিরা বয়ান পেশ করছেন। উর্দুতে বয়ান হলেও বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসি ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ভাষাভাষীর মুসল্লিরা আলাদা বসেন এবং তাদের মধ্যে একজন মুরব্বি মূল বয়ানকে তাৎক্ষণিক অনুবাদ করে শোনান।
আগামীকাল রবিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে প্রথম পর্বের সমাপ্তি হবে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হয়ে আখেরি মোনাজাত হবে ১১ ফেব্রুয়ারি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :