বিশ্ব ইজতেমায় আরও চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে একপুলিশ সদস্যসহ ১৯ জনের মৃত্যু হলো।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ইজতেমার মিডিয়া সেলের প্রধান মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
মারা যাওয়া চার মুসল্লি হলেন- রাজবাড়ী জেলার মো. সানোয়ার (৬২), চট্টগ্রামের আলম মিয়া (৬৫), নরসিংদী জেলার মো. শাহনেওয়াজ ভুঁইয়া (৬২) ও সিরাজগঞ্জ জেলার আল মাহমুদ (৬৫)।
হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত পর্যন্ত আরও ৪ জন মুসল্লি মৃত্যু হয়েছে। তারা চারজনই ইজতেমায় আগত মুসল্লি বা তাবলীগের সাথী। এবারের ইজতেমায় আগত মোট মুসল্লির মৃত্যুর সংখ্যা ১৩।
তিনি আরও বলেন, মাঠের বাইরে ইজতেমার কাজে সংশ্লিষ্ট, ইজতেমায় আসার পথে এক পুলিশ কর্মকর্তা ও আরও ৬ জনসহ মোট ১৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেকেই বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগ ও হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে মারা যান।
আজকের আগে নিহতরা হলেন- শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫) ও নেত্রকোনা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫), নেত্রকোনা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০), জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০), টঙ্গীর বসির মিয়ার ছেলে আ. জব্বার (৫৫)। আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), ইজতেমায় আসার পথে বাসচাপায় পুলিশ সদস্য হাসান উজ্জামান (৩০) মারা যান, শেরপুরের আমেলা খাতুন (৬০), ঢাকার মিরপুর সাড়ে এগারোর বাসিন্দা মোশাররফ আহমেদের ছেলে মোবাশ্বের আহমেদ (৬৮) ও আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে প্রথম পর্বের ইজতেমা শুরু হয়েছে। আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। আগামী ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ও শেষ পর্বের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :