AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সীমান্ত পেরিয়ে অভ্যন্তরে আঘাত হানল মর্টারশেল


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০:০৭ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সীমান্ত পেরিয়ে অভ্যন্তরে আঘাত হানল মর্টারশেল

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে টানা গুলি বর্ষণ, মর্টারশেলের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছেই। এদিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে ৫ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ আহতের ঘটনা ঘটে।

বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন, কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন থেকে শুরু করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় এমন শব্দ শুনা যাচ্ছে।

 মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলি, মর্টার শেল এসে পড়ছে সীমান্তের এপারে বসত ঘরে।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সীমান্তের ২টি বসত ঘরে মর্টারশেল এবং আর ৫টি ঘরে গুলি এসে আঘাত হেনেছে। আর মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পাঁচ বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

আজকে টানা ৫ থেকে ৬ দিন ধরে সীমান্তে মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলির কারণে এলাকাবাসী আতঙ্কে আছেন বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজিজ।

মঙ্গলবার বিকেলে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন।

জেলা প্রশাসক জানান, ঘুমধুম সীমান্তের পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। সীমান্ত এলাকার ২৪০ পরিবারের লোকজন ঝুঁকি রয়েছেন। এর মধ্যে স্থানীয় চেয়ারম্যান এদের নিরাপদে সরে যেতে সহযোগিতা করছেন। ইতিমধ্যে সীমান্তবর্তী ১৫০ পরিবার নিজ উদ্যোগে নিকট স্বজনদের বাড়ি চলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। জলপাইতলী এলাকা থেকে ৩০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তার ঝুঁকি মাথায় রেখে দুটি স্কুলে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে প্রশাসন এবং স্থানীয়  জনপ্রতিনিধির সমন্বয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

সীমান্তের ওপার থেকে ছুটে আসা বুলেট ও বোমার অংশে তাৎক্ষণিকভাবে হাত না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, অবিস্ফোরিত বুলেট ও বোমা  বিস্ফোরণ  হয়ে আহত বা নিহত  হতে পারেন সার্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে সতর্ক থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ রইল।

এদিকে জেলা প্রশাসন ও বিজিবির সাথে পুলিশও সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!