নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা একবার উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলাম। এখন সেই উদারতা দেখানোর আরো কোনো সুযোগ নেই।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের জন্য আন্তর্জাতিক যে সাহায্য ছিল, সেটা অনেক কমে গেছে। এমন অবস্থায় এই বোঝা আমরা আর কতদিন বইবো?
মিয়ানমার ইস্যুতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে তারা বুঝবে। তবে বাংলাদেশের নিরাপত্তায় যেন কোনো হুমকি না আসে সে বিষয় নিয়ে সরকার সজাগ আছে। চীনসহ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
এতো এতো ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, সেতু, রাস্তা করা হয়েছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এসব যতই করি, যদি রোডের সেফটি না থাকে তাহলে কোনো লাভ নেই। জনগণ এসব উন্নয়নের সুফল পাবে না। বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প- সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প নিয়ে কথা হয়েছে। সড়কে যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে। সেটি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব রয়েছে।`
প্রকল্প বিষয়ে তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা যেভাবে বাড়ছে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার মোট ব্যয়ে সরকারি ১ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা ও ঋণ ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকায় প্রকল্পে ধরা হয়েছে। ৩০ জুন ২০২৮ সালে শেষ হবে প্রকল্পের মেয়াদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, কল সেন্টার, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, পেট্রোল মোটরসাইকেল, ইন্ট্রিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজম্যান্ট, রেস্কিউ টিম, বিআরটিএ। বাংলাদেশ পুলিশ। তারা প্রকল্পের সহযোগিতায় থাকবে।
নিরাপত্তা প্রকল্পে কী ধরনের নিরাপত্তা দেয়া হবে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা আছে। তারা পুলিশ সেন্টার করবে। অ্যাম্বুলেন্স ও মেডিকেল সাভিস করা হবে। ইমারজেন্সি রেসকিউ অ্যাপয়েন্টমেন্ট ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নয় মন্তব্য করে কাদের বলেন, প্রকল্পের যতটুকু কাজ হয়েছে। আমার ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ হয়নি।
পদ্মা সেতুর পর এটি বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এতে আগের তিক্ততার প্রভাব থাকবে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সব বিষয়ে কথা বলেই আমরা নতুন করে প্রকল্প হাতে নিয়েছি। পদ্মা সেতুর পর আমরা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে নতুন করে প্রকল্প নেইনি। এই সড়ক নিরাপত্তার প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংক দেয়ার পর আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে নিয়েছি। এটির কার্যক্রম এখন চলমান আছে। এখনও এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। আমি সচিবকে বলেছি এটি যেন দ্রুত কাজ শুরু করেন। আমাদের প্রকল্পের কাজটা শুরু করতে দেরি হয়েছে। এইখানে কোনো দুর্নীতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনপি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কোনো মন্তব্য নিয়ে কথা বলার সময় নেই। চিন্তা করার সময়ও নেই। আন্দোলন, ব্যর্থতা নিয়ে তাদের মধ্যে চরম হতাশা কাজ করছে। এইসব হতাশা কাটানোর জন্যই তারা বিরোধিতা করছে। বিরোধী দলের তো কিছু না কিছু বলতে হবে। তাই তারা আবলতাবল বলছে। এইগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :