AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শতাধিক ধনীর মেয়ে তার ফাঁদে


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৭:৫৮ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
শতাধিক ধনীর মেয়ে তার ফাঁদে

কানাডায় স্থায়ী বসবাসের গ্রিনকার্ড হোল্ডার, পিএইচডিধারী এবং দেশের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকের সন্তান হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন নেত্রেকোনার পূর্বধলার নারান্দিয়া এলাকার আব্দুর রবের ছেলে এহসান আহমেদ (৩০)। বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যেতে ইচ্ছুক উচ্চবিত্ত পরিবারের এমন তরুণীদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত হতেন তিনি। তাদের সঙ্গে দেখা করার সময় ভালো বেশভূষা ও নামিদামি গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে যেতেন ওই যুবক। এরপর গড়ে তুলতেন প্রেমের সম্পর্ক।

এমন মিথ্যা পরিচয়ে শতাধিক নারীর সঙ্গে প্রেম করে প্রতারণা করেছেন এহসান। সবশেষ তার ফাঁদে পা দেন ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যয়নরত এক তরুণী। কানাডায় স্ত্রী হিসেবে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এহসান। এরপর কৌশলে ওই তরুণীর ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে তার প্রতারণায় অতিষ্ঠ হয়ে সম্প্রতি রাজধানীর মুগদা থানায় মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী তরুণী। এরপর বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রমনা থেকে এহসানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

ডিবিপ্রধান জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সাবেক এক ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় প্রতারক এহসানের। তিনি নিজেকে গ্রিনকার্ডধারী কানাডা প্রবাসী, পিএইচডি ডিগ্রিধারী ও বড় শিল্পপতি পরিবারের সন্তান পরিচয় দেন। তাদের গুলশানে বাড়ি ও বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে এমন তথ্য দেন। এসব পরিচয় ব্যবহার করে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রেমের সুযোগে ভুক্তভোগী তরুণীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও। পরে সেগুলো সামাজিক মাধ্যম ও স্বজনদের কাছে প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, এর আগেও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এ ধরনের অনেক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। প্রতারকরা নিজেদের মন্ত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সচিব, বড় ব্যবসায়ীর সন্তান দাবি করে মেয়েদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে শারীরিক ও আর্থিকভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। এসব মাধ্যমে কেউ বড়লোক, ব্যবসায়ী বা সরকারি চাকরিজীবী পরিচয় দিলে যাচাই করা উচিত। সেই সঙ্গে অনলাইনে বন্ধুত্বের নামে ব্যক্তিগত এসব ছবি-ভিডিও আদান-প্রদানে সতর্ক হতে হবে। তবে কেউ এ ধরনের প্রতারণার শিকার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিতে হবে।


একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা

 

Link copied!