পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রমজানের আগে বাংলাদেশে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি রপ্তানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে রমজানে তারা যেন ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং চিনি ১ লাখ মেট্রিক টন রপ্তানি করে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিল্লি সফর শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা অনেক ভোগ্যপণ্যের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে, পেঁয়াজ, চিনি, ডাল এবং মসলা জাতীয় কিছু পণ্য। আমরা অনেক কিছুর জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি তাকে (ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে) বলেছি, এসব ভোগ্য পণ্যে যেন বিশেষ কোটা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। যাতে কমপক্ষে আমরা তাদের থেকে এসব সঠিক মূল্যে এবং আমাদের প্রয়োজনে ইমপোর্ট করতে পারি। কমপক্ষে এটুকু সুবিধা যেন তাদের থেকে নিতে পারি।
তিনি আরও বলেন, রমজানের আগে তারা ইতোমধ্যে আমাদের দেশে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি রপ্তানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমি সেটাকে বর্ধিত করে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং ১ লাখ মেট্রিক টন চিনিতে উন্নীত করার কথা বলেছি। তিনি (ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী) সেটা ভালোভাবে নিয়েছেন।
সীমান্ত হত্যা বন্ধে অপ্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে ভারতের সাথে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সঙ্কটের কারণে আঞ্চলিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এ সঙ্কট মোকাবেলায় এবং রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে দিল্লির সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। ভারতের আগামী নির্বাচনের পর তিস্তা পানি বণ্টন ইস্যুতে দেশটির সাথে বাংলাদেশের আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :