ধর্মবর্ণনির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জ্ঞাননির্ভর সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ নিশ্চিত করব। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
আজ অপরাহ্ণে ঢাকার আগারগাঁওয়ে সরকারি সংগীত কলেজ প্রাঙ্গণে `আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকা পূজা উদ্যাপন পরিষদ`-এর উদ্যোগে সরস্বতী পূজানুষ্ঠান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এসময় পরিষদের আহ্বায়ক বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও সদস্য সচিব ইউজিসির সহকারী সচিব প্রবীর চন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশের অন্যতম সর্বজনীন ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজায় ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণ এ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও ঐতিহ্যে যোগ করেছে এক ভিন্ন মাত্রা। সরস্বতী পূজানুষ্ঠান একটি উৎসবে পরিণত হয়ে সম্প্রীতির এমন সুমহান ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে ভূমিমন্ত্রী এসময় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকা পূজা উদ্যাপন পরিষদ পূজানুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও পুনরুজ্জীবিত করার ব্রতে এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শ্রদ্ধা ও ঐক্যের বোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে, বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক কাজ করে থাকে।
ভূমিমন্ত্রী বক্তব্যের পর সরস্বতী পূজা ২০২৪ উপলক্ষে `আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকা পূজা উদ্যাপন পরিষদ` কর্তৃক প্রকাশিত `জ্যোতির্ময়’র মোড়ক উন্মোচন করেন এবং সংগঠনটির ওয়েবসাইট https://pujaupa.org/ উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ছিলেন ইউজিসির চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর. মুহাম্মদ আলমগীর, সদস্য প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের, প্রফেসর ড. হাসিনা খান, সচিব ড. ফেরদৌস জামান, পরিচালক মো: ওমর ফারুখ, সরকারি সঙ্গীত কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্টি হেফাজ, পরিষদের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. অশোক কুমার রায়, নন্দলাল দাস সহ অত্র এলাকার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা তাদের পরিবারবর্গ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :