একদিকে তিনি যেমন সুনামধন্য গোলরক্ষক তেমনই তিনি নামকরা রেফারি। মাঠের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত বাঁশি মুখে সজাগ দৃষ্টিতে ঘোরেন তিনি। অসাধারণ ব্যক্তি হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
বলছি পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়ীয়া হারোপাড়া এলাকার বাসিন্দা (অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক) আলহাজ্ব সেকেন্দার আলী মাষ্টারের ছেলে বি. এম ছানাউল্লাহ`র কথা।
বি. এম ছানাউল্লাহ`র ফুটবলের নেশা ছোটবেলা থেকেই। কখনো প্রখর রোদে পুড়ে, কখনো বৃষ্টিতে ভিজে কত যে ফুটবল খেলেছেন তার হিসেব নেই। এ পাড়া ও পাড়ার সঙ্গে খেলাও রেখেছেন। আবার কখনো ফুটবল খেলা দেখতে চলে গিয়েছেন বহুদূরে কোথাও।
জানা যায়, বি. এম ছানাউল্লাহ ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এসএসসি ও ২০১৩ সালে হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
পরবর্তীতে ২০১৭ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স সম্পন্ন করেন। রেফারি হতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পাবনা জেলার পাকশী কলেজ অব ফিজিক্যাল এডুকেশন কলেজ থেকে ২০২০ সালে বিপিএড ও ঢাকার উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে ২০২৩ সালে এমপিএড সম্পন্ন করেন। বর্তমানে পাবনা জেলা রেফারি এসোসিয়েশনের রেফারি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড়াল কিন্ডার গার্টেনে ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ফুটবলের প্রতি তার ভালোবাসা ঠিক যতটা ব্রাজিলের প্রতি তার ভালোবাসা ঠিক ততটা। যখন থেকে খেলা মোটামুটি বোঝেন তখন থেকেই ব্রাজিল দলকে সমর্থন করেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই ফুটবল রেফারির প্রতি তার মোহ জন্মায়। একের পর এক পরীক্ষা দিয়ে তিনি এখন এক শিক্ষিত পেশাদার রেফারি।
বি. এম ছানাউল্লাহ তার অতীত জীবনের স্বৃতিচারণ করে একুশে সংবাদ. কমকে বলেন, ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের নেশা আমার। প্রথমে গোলরক্ষক হিসেবে খেলা শুরু করি। এভাবেই ধীরে ধীরে বড় হতে থাকি। পরবর্তীতে রেফারি হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করতেই এগিয়ে আসেন উপজেলার বিবি স্কুল এন্ড কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক সাইফুল ইসলাম স্যার। সাইফুল ইসলামের বিভিন্ন পরামর্শেই আজ তিনি পেশাদার রেফারি হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন বলে জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/শ.সা.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :