সদ্য সমাপ্ত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল সন্দেহে হুমাইরা ইসলাম ছোয়া নামে এক শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে ওই শিক্ষার্থীকে পরিবারসহ সচিবালয়ে ডেকেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তদন্ত কমিটিও অভিযুক্ত পরিদর্শক ডা. নাফিসা ইসলামের পক্ষে প্রতিবেদন দিয়েছে। তবে হুমাইরার দুলাভাই ডা. রেদওয়ান বলেছেন, রুমটিতে সিসিটিভি না থাকায় পরীক্ষা শেষে আবারও হলের সিট প্ল্যান পরিবর্তন করা হয়েছে। যেন বিষয়টি প্রমাণিত না হয়।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে হুমাইরার দুলাভাই ডা. রেদওয়ান গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এমনটি দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার পরিবার গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই। ওই হলে সিসিটিভি না থাকাটাই একটা বড় প্রশ্ন। সেই সঙ্গে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে পরীক্ষা শেষে আবারও হলের সিট প্ল্যান পরিবর্তন করা হয়। গণমাধ্যম চাইলে এটা অনুসন্ধান করে বের করতে পারবেন।
ডা. রেদওয়ান বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আসলে বাংলাদেশে সবই সম্ভব। বিষয়টি নিয়ে বড় চক্র কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কতটা লড়তে পারব জানিনা। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানানোর কারণে আমাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একটা অভিযোগ করার পর মারধরের মতো ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা না থাকলে যাদের সঙ্গে অন্যায় হবে তারা সামনে আসবে না।
হুমাইরার দুলাভাই জানান, আমাদেরকে তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। তদন্ত কমিটি আমাদের শুধুমাত্র একটা শিট দেখিয়েছে, যেটি হলে ঘটনার সময়টার নয়। শিট ছিঁড়ে ফেলার পরে যেটা দেওয়া হয়েছিল সেটা। আর ছেড়া শিটটি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেখানো হয়নি।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অভিযোগ তোলা শিক্ষার্থী হুমাইরা ইসলাম ছোয়াসহ তার পরিবারের সদস্যদের সচিবালয়ে ডেকে পুরো ঘটনা শুনেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অভিযুক্ত পরিদর্শক ডা. নাফিসা ইসলামের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। সবার কথা শোনার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।
সাক্ষাৎ শেষে হুমাইরার বাবা বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের কাছে ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলা বিষয়ে সেই দিনের পুরো ঘটনা শুনেছেন। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চেয়েছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিগগিরই সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে মন্ত্রীর কাছে অভিযুক্ত পরিদর্শক এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন।
এদিন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে ব্রিফ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তারা জানায়, পরিদর্শকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। ওই কেন্দ্রে ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলার কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :