উপজেলা নির্বাচনে পরিচালনা ও আচরণ বিধিমালায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষরের বিধান বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত ১০ গুণ বাড়ানো ও প্রতীকের বরাদ্দের আগে প্রচারসহ একগুচ্ছ সংশোধনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় ইসি।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এবার সাদা কালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টারেও নির্বাচনি প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।
আগামী ৪ মে থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এবার মোট চারধাপে অনুষ্ঠিত হবে ভোট। ইসি জানিয়েছে, আগামী ১১ মে দ্বিতীয় ধাপ, ১৮ মে তৃতীয় ধাপ এবং ২৫ মে হবে চতুর্থ ধাপের নির্বাচন।
সভায় প্রস্তাব করা হয়, উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ২৫০ জন ভোটারের যে স্বাক্ষরের বিধান ছিল, তা আর লাগবে না। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উপজেলা ভোটে চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বৃদ্ধি করে ১ লাখ টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যানের ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসি সচিব মো জাহাংগীর আলম বলেন, ‘স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীদের যে ২৫০ জন ভোটারের পূর্ব সম্মতি প্রয়োজন হতো সেটাকে বিলুপ্ত করার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তার পরিবর্তে আমাদের জামানতের অর্থ বাড়ানো হয়েছে। চেয়ারম্যান পদের জন্য ১ লাখ টাকা আর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা এবং পুরুষ তাদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এটি একটি সিদ্ধান্ত।’
এছাড়া পরিবর্তন আনা হয়েছে পোস্টারে। সাদা কালো পোস্টারের পাশাপাশি এবার রঙিন পোস্টার ব্যবহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দের আগে সীমিত পরিসরে চালানো যাবে প্রচারণাও।
মো জাহাংগীর আলম বলেন, ‘আগে সাদা কালো পোস্টারের কথা বলা হতো, এখন বলা হচ্ছে সাদা কালো বা রঙিন। কেউ যদি রঙিন পোস্টার করতে চায় সেটা করতে পারবে। পদপ্রার্থী তার মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর থেকে প্রতীক বরাদ্দের পূর্ব পর্যন্ত এই বিধি অনুসরণ করে, নিজেকে পরিচিত করার জন্য জনসংযোগ করতে পারবেন। এখানে সর্বোচ্চ ৫ জন লোক সাথে নিয়ে বা নিকটাত্মীয়দের নিয়ে নিজের পরিচিতির জন্য ভোটারদের বাড়িতে যাওয়া বা সাক্ষাৎ করা বা কথা বলা এ জাতীয় একটি প্রস্তাব এখানে রাখা হয়েছে।’
সচিব বলেন, কমিশন সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেইগুলো ভেটিং শেষে বিধিমালা সংশোধন হবে।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :