বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও নাম ব্যবহার করে রোহিঙ্গারা পাসপোর্ট বানাচ্ছে। এ কাজে বেশ কয়েকটি দালাল চক্র, পাসপোর্ট অফিসের আনসার সদস্যরাও সক্রিয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, বিশেষ অভিযানে ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
সৌদি আরব যাওয়ার উদ্দেশে দালাল চক্রের কাছে দেড় লাখ টাকা দেয় ১৪ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা কিশোরী। বিনিময়ে মিলবে বাংলাদেশের পাসপোর্ট। দালালরা প্রথমে ওই রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশি এক নারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সহায়তায় জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট বানিয়ে দেয়। পরে সেই জন্মনিবন্ধন দেখিয়ে বানানো হয় পাসপোর্ট। চক্রটি ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন জেলার নাম দিয়ে জন্মনিবন্ধন করে। এরপর বানায় এনআইডি ও পাসপোর্ট।
প্রায় ২ মাস দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ। জানা যায়, পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরাও রয়েছে এই অপরাধী চক্রের সঙ্গে।
পরে রোহিঙ্গা, আনসার ও দালালসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি। চক্রটি ২০১৯ সাল থেকে হাজারের বেশি পাসপোর্ট বানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন স্থান থেকে একটি চক্র রোহিঙ্গাদের খুঁজে খুঁজে বের করত। আরেকটি চক্র তাদের নামে জন্মনিবন্ধন, এনআইডি বানানোর ব্যবস্থা করত। এরপর আরেকটি চক্র তাদেরকে পাসপোর্ট বানিয়ে দিত।
সরকারি এমন স্পর্শকাতর অধিদফতরগুলোতে নজরদারি আরও বাড়ানোর পাশাপাশি সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্ত করার আহ্বান জানান গোয়েন্দা বিভাগের এ কর্মকর্তা। অসাধু এই চক্রের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত। তাদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :