গাজা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান আরও একবার দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বরাবরই ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষদের সমর্থন দিয়ে এসেছে। এ বিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীও সরব। আমরা ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতায় এবং দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে বিশ্বাসী।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির বিশেষ অধিবেশন শেষে তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
কয়েকদিন আগেও জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে গাজায় ‘গণহত্যা’ চলছে বলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন মোহাম্মদ এ আরাফাত।
এদিকে বিশেষ এ অধিবেশনে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের তথ্য বিশ্ববাসীকে জানাতে বিশেষ পর্যবেক্ষক ইউনিট গঠনের ঘোষণা দেয় মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা- ওআইসি।
চার মাসের বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বর আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। নির্বিচার হামলায় প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। সংঘাত বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তৎপরতা চালালেও নেতানিয়াহু প্রশাসনের একরোখা আচরণের কারণে ভেস্তে যাচ্ছে সব প্রচেষ্টা।
এমন পরিস্থিতিতে গাজা ইস্যুতে বিশেষ বৈঠক করছে মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসি। এবার অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যা প্রমাণে তৎপর হয়েছে মুসলিম বিশ্ব। এ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে বিশেষ পর্যবেক্ষক ইউনিটও গঠন করবে সংস্থাটি।
যুদ্ধাপরাধের পাশাপাশি সাংবাদিকদের টার্গেট করে হত্যা এবং অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন ওআইসি সদস্যরা। তাদের দাবি, এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বিশ্বের সামনে সত্য উপস্থাপনে বাধা সৃষ্টি করছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এর মাধ্যমে নিজেদের পক্ষে জনমত গঠন এবং এ অভিযানের বৈধতা নিশ্চিতের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
এদিন ৪৩ দেশের ২০০ প্রতিনিধি অংশ নেন উচ্চপর্যায়ের এ বৈঠকে। প্রাণহানি এড়াতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দাবি জানান তারা। সেই সঙ্গে সেখানে দায়িত্বরত সাংবাদিকদের ওপর ইসরাইলের সন্ত্রাসী কর্মাকণ্ডের অভিযোগ তদন্তেরও আহ্বান জানান তারা।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :