সরকারের শ্রেষ্ট অর্জন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন, যার সুফল ভোগ করছে দেশের ১৮ কোটি মানুষ। এই সরকারের বর্তমান লক্ষ্য আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তর করা।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড, শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত ও সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখে বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র নসাৎ করে পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেখ হাসিনা। এটা একটা বিরল সম্মান, বিশ্ব্যাব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি তার নেতৃত্বের গুনাবলির জন্য।
বর্তমান সরকার উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে এই মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ স্বপ্ন না বাস্তবায়িত হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীনরা আজ মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছে। শিক্ষা সহায়তায় বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে এ খাতকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। বেড়েছে নারীর ক্ষমতায়ন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন, নৌকা প্রতীক নিয়ে গৌরনদী ও আগৈলঝড়া সংসদীয় আসন থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। নৌকা শান্তির প্রতীক এবং নৌকা উন্নয়নের প্রতীক।
তিনি বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৮ লাখ ৫১ হাজার ৭০১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। দেশের ৩৯৪ট উপজেলাকে সম্পূর্ণরুপে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ বিশ্ব দরবারে শেখ হাসিনা মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
সরকারের ধারাবাহিক তিন মেয়াদে আর্থ-সামাজিক, অবকাঠামো উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। যেমন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, ব্যাংকিং, প্রশাসন, উদ্ভাবন, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ডিজিটাল অর্থনীতি, আইসিটি শিল্পসহ প্রায় সব খাতে সমানভাবে উন্নতি লাভ করেছে। এছাড়া জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের তরুণদের প্রশিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মেধা ও প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চারটি অনুষঙ্গ নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :