রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ১০টায় ঢাকা মেডিকেল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট পরির্দ্শন করে মৃতের সংখ্যা বাড়ার তথ্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
বার্ন ইউনিটের সামনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে বেইলি রোডে একটা অত্যন্ত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমাদের বার্ন ইউনিটে ১০টি ডেড বডি এবং ঢাকা মেডিকেল ৩৫টি আসে।
“আজকে সকালে ঢাকা মেডিকেলে আইসিউতে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪৬ জন আমাদের জানা মতে মারা গেছেন।”
মন্ত্রী বলেন, “যারা মারা গেছেন তারাও কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিংয়ের শিকার হয়েছে। অর্থাৎ, একটা বদ্ধ ঘরে যখন বের হতে পারে না, তখন ধোঁয়াটা শ্বাসনালীতে চলে যায়। প্রত্যেকেরই তা হয়েছে।
“যাদের বেশি হয়েছে, তারা মারা গেছেন। তবে যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নয়।”
আহতের সংখ্যা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের বার্ন ইউনিটে ১০ জন ভর্তি আছে। ঢাকা মেডিকেলে আছে দুইজন, মোট ১২ জন। আমাদের এখানে যারা আছে, সবাই দগ্ধ এবং তাদের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। কেউ শঙ্কামুক্ত নয়।”
এদিকে এ পর্যন্ত ৩৫ জনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৩৯ জনের লাশ শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৩৫ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছয়টি লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বেশকিছু হতাহতের পরিবার এসেছে। তারা দেখছেন। আশা করি আরো কিছু লাশ শনাক্ত হবে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ছিল বিরিয়ানির পরিচিত খাবার দোকান ‘কাচ্চি ভাই’ এর শাখা, পোশাকের ব্র্যান্ড ইলিয়েন, নিচের তলায় স্যামসাং এর শোরুমসহ আরও বেশ কিছু দোকান। স্যামসাংয়ের শোরুমের পাশে রয়েছে একটি কফি শপ। এরকম কফির দোকানসহ ফাস্টফুডের অনেকগুলো দোকান ও রেস্তোরাঁ রয়েছে ভবনটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিভিয়ে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এরপরই আসতে থাকে একের পর এক মৃত্যুর খবর।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :