রাজধানীর বেইলি রোডে ‘গ্রিন কিজ কটেজ’ ভবনে আগুনের ঘটনায় ওই ভবনের ম্যানেজারকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (২ মার্চ) অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, তাকে কিছুক্ষণ আগে আটক করা হয়েছে। আটকের পর ভবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার (১ মার্চ) চুমুক নামের একটি খাবার দোকানের দুই মালিকসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
আটক ব্যক্তির হলেন- চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং কাচ্চি ভাই নামে আরেকটি খাবারের দোকানের ব্যবস্থাপক মো. জিসান।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ভবনের নিচতলার খাবার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এ ঘটনায় অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ করতে চাইলে তা পারবেন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ অগ্নিকাণ্ডে ভবনের মালিকের দায়িত্বের কোনও অবহেলা রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ভবনের মালিক থেকে শুরু করে এ ঘটনায় যার দায় পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবারের (২৯ মার্চ) আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগুনে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী এবং আটজন শিশু মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এদের ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুজনের মরদেহ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। বাকি ছয়জনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
একুশে সংবাদ/ম.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :