আগামী ১০ মার্চের মধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন চল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে আসছেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি পহেলা মার্চ থেকেই লিফটিং করতে বলেছি। আমাদের পহেলা মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত একটি সিদ্ধান্ত ছিলো। সেটা থেকে কমিয়ে আমরা ১০ মার্চের মধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ মার্চের মধ্যে দেড় লাখ টন বিতরণ শেষ করা হবে।
এতে বাজারে স্বস্তি ফিরবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি দেড় লাখ টন চাল যদি বাজারে ১৫ টাকা দরে যায়, তাহলে ৫০ লাখ পরিবারকে তো আর বাজার থেকে চাল কিনতে হবে না। এতে স্বস্তি আসবে বলে আমি মনে করি।
২০ ফেব্রুয়ারি থেকে চালের দাম ও জাত বস্তায় লেখা থাকবে সেটা কার্যকর হয়েছে কিনা জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিপত্র জারি করবো বলেছিলাম আর কার্যকর করবো ১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ থেকে।
‘কারণ যে সমস্ত চাল এখন বাজারে বস্তাবন্দি আছে এবং সিল মারা আছে, সেগুলো এখন আর কেউ প্যাকেট চেঞ্জ করবে না। কাজেই নতুন বছরে বোরো চাল উঠবে, তখন থেকে এটা কার্যকর হবে৷
এই প্রক্রিয়ার কোনো হালনাগাদ তথ্য জানাতে পেরেছেন কি ডিসিরা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ডিসি, মিলমালিকদের সঙ্গে মিটিং শুরু করেছি। ধান ও চালের জাতের যে নমুনা, সেটা তাদেরও সরবরাহ করা হচ্ছে। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সে জাতগুলো দিয়েছে, আউশ, আমন ও বোরোতে কোন কোন জাত, কোনটা মোটা, মাঝারি ও সরু সেই জাত দিয়েছে, সেটা নিয়ে তাদের সাথে কাজ করছি।
এছাড়া যে মজুদবিরোধী অভিযান ডিসিদের নিয়ে করেছি সেটা আমরা অনেকাংশেই সফল হয়েছি। তাদের কাছে আবেদন জানিয়েছি, নির্দেশনা দিয়েছি যাতে বস্তার গায়ে জাতের নাম লেখা নিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেটা বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করে। এছাড়া ছাঁটাইয়ের রকম চেঞ্জের বিষয়েও নির্দেশনা গেছে। যাতে এগুলো বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :