দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ‘এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের’ পোড়া চিনি মিশ্রিত পানি কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে। ফলে সেই এলাকায় নদীর পানি তামাটে রং ধারণ করেছে। কারখানার আশপাশের রাস্তাঘাটে জমে আছে পোড়া চিনির পানি। পুরো এলাকায় পোড়া চিনির তীব্র গন্ধ।
পোড়া চিনির বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে পড়তেই এর বিরূপ প্রভাব শুরু হয়েছে। এতে বিষক্রিয়ায় মারা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও কাঁকড়াসহ নানা জীববৈচিত্র।
কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এস আলম সুগার মিলের নালা দিয়ে পোড়া বর্জ্য আসছে কর্ণফুলী নদীতে। এতে নদীর পানি তামাটে রং ধারণ করেছে। স্থানীয় লোকজন নদীর কিনারে মাছ ধরছে। এর মধ্যে কেউ হাতজাল দিয়ে আবার কেউ হাত দিয়ে ভেসে থাকা মৃত এবং অর্ধমৃত মাছগুলো ধরছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুরুজ মিয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত থেকে নদীতে মাছ মরে যাচ্ছে। এস আলমের পোড়া চিনি নদীতে পড়ার পর মাছ মরছে। এর আগে এ ধরনের ঘটনা কখনও ঘটেনি। পোড়া চিনির বর্জ্যগুলো কারখানা থেকে সরাসরি কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে। এভাবে থাকলে নদীর মাছ একটিও থাকবে না। সব মরে ভেসে উঠবে।’
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বেশিমাত্রায় পোড়া চিনি নদীতে মিশে গেলে দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব পড়তে পারে। সে কারণে পোড়া বর্জ্যগুলো সরাসরি নদীতে পড়া ঠেকানো দরকার।
তবে এস আলম গ্রুপের কর্মকর্তারা বলছেন, অপরিশোধিত চিনির বর্জ্যে পরিবেশের ‘কোনো ক্ষতি হবে না।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ বিকেল ৩টায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর ইছানগরে কারখানার একটি গুদামে আগুন লাগে। এই ঘটনার ৩০ ঘণ্টা পার হলেও আগুন পুরোপুরি নেভানো যায়নি।
একুশে সংবাদ/ম.আ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :