পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর লাইসেন্স তারা দিতে পারেন না। দূষণ রোধে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয় একমত, যৌক্তিক সীমানার বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়।
বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে হেমায়েতপুরে অবস্থিত বিসিক চামড়া শিল্পনগরীর দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সাভার চামড়া শিল্প নগরীর আর কোনো দূষণই গ্রহণযোগ্য হবে না। এখানকার শিল্পকারখানাগুলোতে ইটিপি চালু করতে টাইমলাইন দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
কোরবানির পর আর ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে সাবের হোসেন বলেন, ‘অবৈধ কারখানাগুলোর পরিবেশের ছাড়পত্র বাতিল কার্যক্রম শুরু হবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের চাহিদা পূরণ না করতে পারলে পণ্য রফতানি করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১০ বছরে, মাইনাসে আছি। দূষণ রোধে এখন গুরুত্ব দিতে হবে। দূষণের কারণে মানুষের ক্যানসার হয়, মৃত্যুরও কারণ হয়। অক্সিজেন না থাকায় পানি পচে গেছে, এমনকি এখানে ব্যাকটেরিয়াও বেঁচে থাকতে পারে না। কোরবানির পর সম্ভাব্য পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ কাজে সবার সহযোগিতা দরকার।’
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারিখাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিসিকের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা ও চামড়া কারখানার মালিকরা।
বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ শিল্পনগরীর বর্তমান অবস্থা নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :