অবহেলা আর দূষণে বুড়িগঙ্গার পানি এখন রীতিমত বিষাক্ত। কালো জলে দুর্গন্ধ নিয়েই বয়ে চলেছে। পানির এমন রংই বলে দেয় কতটা দূষণের শিকার বুড়িগঙ্গা। নদীটি বর্তমানে প্রায় অক্সিজেনশূন্য হয়ে পড়েছে। কারখানা ও পয়ঃবর্জ্য নির্বিচারে পড়ছে এই নদীতে। নদীর প্রতি লিটার পানিতে এখন অক্সিজেনের মাত্রা শূন্য দশমিক এক ছয়, যার স্বাভাবিক মাত্রা চার।
বুধবার (২০ মার্চ) পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনের (পরিজা) এক সমীক্ষায় এ ভয়াবহ চিত্র উঠে আসে। বলা হয়, নদীর বর্তমান অবস্থায় কোনো জলজ প্রাণির বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। গবেষণা ছাড়াই খালি চোখেই বলা দেয়া যায়, এই নদীতে বাঁচতে পারে না কোনো প্রাণ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘এটা আসলে পানি না। এটা হল বিষ। এখানে জলজ কোনো প্রাণী বাঁচতে পারে না। এখানে যদি কেও কখনো পড়েও যায় তার আর বাঁচা সম্ভব না। মুহুর্তেই সে মরে যাবে।’
নিয়মিত নদী পারাপার হতে হয় যাদের, তারাও ভালো নেই। ভুগছেন নানা শারীরিক সমস্যায়। এমনই একজন বলেন, ‘আমাদের বাসায় প্রতিদিনই গন্ধ আসে। বিশেষ করে গভীর রাতে এই গন্ধ বেশি আসে। এখন শ্বাস কষ্টের সমস্যা হয়ে গেছে।’
বুধবার সকালে বেসরকারি সংস্থা পরীজা নদীর পানির বিভিন্ন উপাদান মেপে দেখেন। দূষণের মাত্রায় বিস্মিত হন সবাই। সংস্থাটির সভাপতি প্রকৌশলী, মো. আবদুস সোবহান বলেন, ‘যারা দায়িত্বে আছেন, সরকারি বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়। আমি মনে করি তাদের এখানে প্রচুর দুর্বলতা আছে। আমি মনে করি, তারা এ বিষয়টিকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না।’
বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে নানা সময় নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও আলোর মুখ দেখেনি সে উদ্যোগ। আদালতের নির্দেশ অমান্য করেই কারখানা আর পয়বর্জ্যে ডুবছে বুড়িগঙ্গা।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :