বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) নিয়োগ বাণিজ্য স্থগিত করে কর্মরত কর্মচারীদের স্থায়ী করার দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভূগীরা। দাবি আদায় না হলে আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর বিক্ষোভ সমবেশ, কর্মবিরতি, আমরন অনশনের মতো কঠোর আন্দোলন করা হবে বলেও ঘোষনা করেন তারা। সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয় ভূক্তভূগীদের পক্ষ থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, স্থায়ীকরণের দাবিতে বিআইডব্লিউটিসির অফিসের সামনে ও প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমবেশ করি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থা কর্মসূচিসহ স্মারকলিপি পেশ করি, সর্বপরি বিআইডব্লিউটিসির প্রধান বরাবর ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ কার্যালয়ে সামনে কঠোর আন্দোলনে যাই। ফলশ্রুতিতে কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় আমাদের আলোচনা হলে তারা আমাদের পাওনা বেতন দেয়ার উদ্যোগ নিলেও স্থায়ীকরণের ব্যাপারে আমাদের পরিষ্কার করে কোন কথা না বলে নিয়োগ বাণিজ্যে ও একটি অধিকার বঞ্চিত এবং অনৈতিক কাজের মতো অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, বিআইডব্লিউটিসিতে দীর্ঘ বছর (২০ বছর হতে ০৫ বছর) ধরে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর বিভিন্ন পদে প্রায় ৬০০ শ্রমিক ও কর্মচারি অস্থায়ী ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু ২০১১ সাল হতে আমাদের স্থায়ীকরণ না করে বারবার পত্রপত্রিকাতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে স্থায়ীভাবে লোকবল নিযুক্ত করা হয়েছে। অথচ আইন অনুযায়ি অভিজ্ঞ ও দীর্ঘ মেয়াদে চাকুরিরতদের অগ্রাধিকার দিয়ে তারপর শূন্য (যদি থাকে) তবেই বাহির থেকে লোকবল নিযুক্ত করা যাবে।
সেই ভিত্তিতে ২০০৬ সালে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী পদে প্রায় ৪২৫জনকে স্থায়ী করা হয়। বর্তমানে আমাদের ভিন্ন ভিন্ন পদে বহুপদে শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও পত্রিকাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লোকবল নিয়োগের মতো ষড়যন্ত্র চলছে। বিআইডব্লিউটিসি`র পর্ষদবৃন্দদের কাছে সবিনয়ে জানাতে চাই এই ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া অতিসত্ত্বর বাতিলপূর্বক সংস্থার বিধিমালা/প্রবিধানমালা অনুযায়ী এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সালের ৫(২) ও ২৫(১) ধারায় উল্লেখিত আদেশনামা অনুযায়ী বিগত দিনের ন্যায় বোর্ড-বাই সার্কুলেশন অর্থাৎ পর্ষদ সভার মাধ্যমে অস্থায়ীদের স্থায়ীকরণ করা হোক।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :