মহান স্বাধীনতা দিবসে সরকারি ছুটির দিনেও তীব্র যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে রাজধানীর ধানমন্ডি ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের। দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হচ্ছে মিরপুর সড়কের কয়েকটি সিগন্যালে। রোজা রেখে রোদ-গরমে গাড়িতে দীর্ঘ সময় বসে থেকে অস্বস্তি এবং ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী-চালক উভয়ই।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরের পর সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মিরপুর সড়কের সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার ২টি সিগন্যাল থেকে শুরু করে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত উভয় সড়কে দীর্ঘ গাড়ির লাইন। যানজটে আটকে আছে মোটরসাইকেল, সিএনজি, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ অসংখ্য গণপরিবহন। বিশেষ করে সায়েন্স ল্যাবরেটরি হয়ে শাহবাগ অভিমুখে প্রবেশের জন্য এবং শাহবাগ থেকে এলিফ্যান্ট রোড হয়ে মিরপুর সড়কে প্রবেশ করতে অপেক্ষা করছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। আর নিউমার্কেট এবং নীলক্ষেত মোড়েও রয়েছে যানজট। তাছাড়া, গাড়ির চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরও।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও আসন্ন ঈদুল ফিতরের জন্য মার্কেট খোলা রাখা হয়েছে। ফলে নিউমার্কেটে সকাল থেকেই কেনাকাটা করতে বিপুল পরিমাণ মানুষের ভিড় তৈরি হয়। এই ভিড় মার্কেট থেকে ফুটপাত হয়ে মূল সড়ক পর্যন্ত পৌঁছেছে৷ ফলে তৈরি হয়েছে যানবাহনের ধীরগতি এবং যানজট।
বাসচালক ও তাদের সহকারীরা বলছেন, অন্যান্য এলাকার সড়ক ফাঁকা থাকলেও এই এলাকায় এসে দীর্ঘ সময় যানজটে নাকাল হতে হয়েছে।
সাভার থেকে ছেড়ে আসা মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসের চালক আব্দুল ওয়াহাব বলেন, আজকে ছুটির দিন হিসেবে রাস্তা-ঘাট একেবারেই ফাঁকা। কোথাও কোনো যানজটে পড়তে হয়নি। তবে কলাবাগানের পর থেকেই যানজটে পড়তে হচ্ছে। শুধুমাত্র সায়েন্সল্যাব পার হতেই প্রায় আধ ঘণ্টা সময় লেগেছে। এখন আবার নিউমার্কেট এলাকায় যানজট। অনেক মানুষ। গাড়ি চালানোর জায়গাই নেই। গরমে যাত্রীদের যেমন কষ্ট হচ্ছে আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে। তবে এই এলাকাটুকু পার হতে পারলে আর যানজটে পড়তে হবে বলে মনে হচ্ছে না।
ভিআইপি ২৭ পরিবহনের সহকারী রজ্জব মিয়া বলেন, সকালে আপ ট্রিপে খুবই ফাঁকা রাস্তা পেয়েছি। এখন ডাউন ট্রিপে স্ট্যান্ডে যেতেই অনেক সময় লাগছে। মানুষ-দোকানপাট ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় চলে এসেছে। আর মূল সড়কে অনেক রিকশা। যার জন্য গাড়ির যেতে পারছে না৷
অপরদিকে যানজট নিয়ন্ত্রণ করে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হালদার অর্পিত ঠাকুর। তিনি বলেন, কেনাকাটা করতে আসা মানুষজনের বাড়তি চাপের কারণে কিছুটা যানজট তৈরি হয়েছে। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা সড়কে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। যান চলাচলে কিছুটা ধীরগতি আছে তবে একেবারেই থেমে নেই। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি মানুষের ভোগান্তি নিরসন করার।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :