বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের কারণে একাত্তরের মার্চ মাসের শুরুতেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অনিবার্য। তাই তিনি একাত্তরের ৭ মার্চ বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার ডাকেই আমরা যুদ্ধে গিয়েছি। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের মহানায়ক। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। তিনি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্তির দিশারি বলেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর পানি ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার ম্যুরাল উদ্বোধন শেষে পানি ভবনের সভাকক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল স্বাধিকার অর্জন।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ সুবিধা উন্নয়নে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। তিনি একটি সুখী ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে পানির সুষ্ঠু ও টেকসই ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের মাধ্যমে স্বল্প মেয়াদে দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষ মোকাবিলা করা এবং দীর্ঘ মেয়াদে দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি মানুষের জীবন, জীবিকা ও বিনিয়োগ নিরাপদ করার স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রধান সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সাফল্যের সাথে গত ৫০ বছর ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬০ এর দশকেও কারাগারে থাকার দিনগুলোতে এদেশের নদী ও পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার সম্পর্কে ভাবতেন যা তার ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ে দেখা যায়।
জাহিদ ফারুক আরো বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ‘আগামী ১০০ বছরে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাই বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০। ২১০০ সালে বাংলাদেশকে যেভাবে গড়তে চাই সেভাবেই ব-দ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।’ বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ এর মতো যুগোপযোগী ও দূরদর্শী পরিকল্পনা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, যা বর্তমান প্রজন্ম কর্তৃক ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সেরা উপহার।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :