AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে

টেলিযোগাযোগ খাতের সক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে: টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮:৪৫ পিএম, ৭ এপ্রিল, ২০২৪
টেলিযোগাযোগ খাতের সক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে: টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জাতীয় অগ্রগতিতে এ খাতের অবদান অপরিসীম।  স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ত্বরান্বিত করতে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের সক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। টেলিযোগাযোগ খাতের টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সরকার এবং টেলিযোগাযোগ খাতের অংশীজনদের সম্মিলিত উদ্যোগে ফলপ্রসূ ভূমিকা গ্রহণের বিকল্প নেই।

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে টেলিযোগাযোগ রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য টেলিকম টেক্সেসন বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  এসব কথা বলেন।

টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ, এমটব সভাপতি ও গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তৈমুর রহমান, রবি আজিয়াটার  চীপ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার মোহাম্মদ সাহেদুল আলম, এফআইসিসিআই এর নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাব্বির এবং টিআরএনবি সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামান রবীন বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমটব সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ জুলফিকার।

টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাইজেশন হচ্ছে বাংলাদেশের অগ্রগতির লাইফ লাইন। এর ধারাবাহিকতায় টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত হচ্ছে ব্যক্তিগত থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনের অপরিহার্য একটি বিষয়। আগামী জুনে যে জাতীয় বাজেট উপস্থাপিত হবে তার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আইসিটি খাতের করহার স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রসারিত করা, সেবার মান উন্নয়ন এবং নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ বিনিয়োগ বান্ধব করার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার দাবি রাখে। আমি মনে করি আইসিটি খাতে করের সংস্কার হলো একটি অত্যাবশ্যকীয় নীতিগত সংস্কার যা বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের আওতা বৃদ্ধি করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে দেশে তিনটি মোবাইল অপারেটরকে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের মনোপলি ব্যবসা ভেংগে দিয়ে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌছে দেওয়া হয়। ভিস্যাটের মাধ্যমে চালু হয় ইন্টারনেট। এরই ধারাবাহিকতায় এ খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরিকল্পনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ফলে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে অভাবনীয় দৃষ্টান্তই স্থাপন করেনি বরং বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে দেশে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৮৫ হাজার টাকা। আমরা দেশে এখন এক এমবিপিএস ইন্টারনেট মাত্র ৬০ টাকা দাম নির্ধারণ করেছি। ২০০৮ সালে দেশে সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো , সাড়ে সাত লাখ ছিল এর ব্যবহারকারী। বর্তমানে ৫ হাজার জিবিপিএস ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যবহার করছে ১৩কোটি গ্রাহক। দেশে ৪৫ হাজার মোবাইল বিটিএস স্থাপিত হয়েছে এবং দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা ফোর জি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে উল্লেখ বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। দেশে বর্তমানে মাথাপিছু ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বাড়াতে হবে উল্লেক করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়বে জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে এর তত বেশি প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত বিকাশ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে দিকে আমাদেরকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

গ্রামীণফোনের সিইও জাতীয় রাজস্ব আহরণে টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান তুলে ধরে বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্রামীণফোন এক লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সরকারকে প্রদান করেছে। তিনি টেলিযোগাযোগ খাতের বিকাশে স্মার্ট কর ব্যবস্থা প্রবর্তণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ   ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশি দেশসমূহের তুলনায় বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে করের পরিমাণ বেশি এর ফলে এ খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!