ঈদে নাড়ি টানে বাড়ির পানে যেতে হবে, তাই সামান্য ভোগান্তি কোন সমস্যা নয়। কিন্তু অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। এমনটাই জানিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী রবিউল।
রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে এসে ময়মনসিংহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে টিকিট কাউন্টারে কাউকে পাওয়া যায়নি। খানিকটা দূর থেকে একজন জিজ্ঞেস করল কোথায় যাবেন? ময়মনসিংহ, আসেন বাস দাড়িয়ে আছে। টিকিট কোথায়? টিকেট লাগবেনা, গাড়িতে বসে কাটলেই চলবে। ভাড়া কত? 800, রবিউলের অভিযোগ গত তিন মাস আগেও তিনি ৪০০ টাকা দিয়ে ময়মনসিংহ গেছেন। লোকটিকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, গাড়ি কম ঈদের সময়, তাই ভাড়া একটু বাড়তি হবে ফেরার সময় ফিরতে হয় খালি সিট নিয়ে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে আরও বেশ কয়েকজন যাত্রীর কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া এবং টিকিটবিহীন যাত্রী পরিবহনের অভিযোগ মিলেছে।
এ বিষয়ে বাস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা ছেড়ে যেসব বাস গন্তব্যে যায়, ফেরার সময় সেগুলো প্রায় খালি ফেরে। তাই ভাড়া একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ময়মনসিংহগামী একটি পরিবহনের এক কর্মী বলেন, অন্যান্য সময়ে সরকারি যে ভাড়ার চার্ট, তার চেয়ে ভাড়া কম নেওয়া হতো। এখন নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে যাত্রীরা মনে করছেন ভাড়া বেশি নিচ্ছি। তাছাড়া ফেরার সময় বাসগুলো ঢাকায় খালি ফেরে, তাই একটু বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে আরকি।
আরও কয়েকটি পরিবহনের কর্মীরাও স্বীকার করেছেন, ঈদ উপলক্ষ্যেই ভাড়া একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। বছরে এই একবারই বেশি ভাড়া নেওয়া হয়।
পরিবহনগুলোর এই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, এই বাড়তি ভাড়া আদায়কে অবৈধ বলা যাবে না। কারণ, অন্যান্য সময় পরিবহনগুলো সরকারি ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়া নেয়। এখন নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছে, যেটাকে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া মনে করছেন। কিন্তু এটা অতিরিক্ত ভাড়া নয়, এই ভাড়াকে অবৈধও বলা যাবে না।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি টার্মিনালে বিআরটিএর ভিজিল্যান্স টিম কাজ করছে, ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছে। বাড়তি ভাড়া নেওয়ার যথাযথ অভিযোগ কেউ নিয়ে এলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :