ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার প্রায় ১৩ গ্রামে ঈদ পালন করা হয়েছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন তারা। একদিন আগে যারা রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন তারা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান।
বুধবার(১০ এপ্রিল)সকাল আটটার দিকে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি গ্রামের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন। তাই একদিন আগেই ওই গ্রামগুলোর অধিকাংশ লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন। গ্রামের অন্য সবাই আগামীকাল পবিত্র ঈদের নামাজ আদায় ও ঈদ পালন করবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলার মাইটকুমরা গ্রামের মোঃ হাসান বলেন,আমাদের গ্রামের কিছু মানুষ আগাম ঈদ পালন করেন। আমরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঈদের নামাজ আদায় করবো এবং ঈদ পালন করবো।
এ ব্যাপারে মাইটকুমরা জামে মসজিদের ইমাম মোঃ রিফাত সিকদার জানান, বুধবার সকাল আটটায় মাইটকুমরা জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সৌদিআরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে ঈদ পালন করা হয়।
মাইটকুমরা গ্রামের বাসিন্দা আফতাব উদদীন শিকদার জানান, উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি গ্রামের কিছু মানুষ একদিন আগে সেহরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে রমজান মাসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। মূলত তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা পালন ও দুইটি ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন। অন্যরা দেশের প্রচলিত নিয়মে ঈদ উদযাপন করেন।
সহস্রাইল গ্রামের বাসিন্দা মোক্তার হোসেন বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দীর্ঘদিন ধরে ঈদ পালন করে আসছি। এবারও ঈদের নামাজ আদায় করেছি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক বলেন, শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের সহস্রাইল, দড়ি সহস্রাইল, ভুলবাড়িয়া, বারাংকুলা, বড়গাঁ, মাইটকুমড়া, গঙ্গানন্দপুর, রাখালতলী, কাটাগড়, কলিমাঝি, বন্ডপাশা, জয়দেবপুর ও দিঘীরপাড় গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আগাম ঈদ পালন করেন।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি গ্রামের আংশিক মানুষ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা ও দুইটি ঈদ উদযাপন করে আসছেন।সে অনুযায়ী তারা আগাম ঈদ পালন করেন। গ্রামের অন্য সবাই আগামীকাল পবিত্র ঈদের নামাজ আদায় ও ঈদ পালন করবেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :