মুজিবনগর সরকারের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট তরুণ প্রজন্মকে জানাতে হবে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার প্রতিফলন এই মুজিবনগর সরকার। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গঠিত এই সরকারের কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত হয়েছিল। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এখনো মুজিবনগর সরকার ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। নতুন প্রজন্মকে এই অপশক্তির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, এই মুজিবনগর সরকার কেন, কীভাবে, কখন, কোথায় এবং কাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছিল সে সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মসহ সবাইকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার জন্য একটি রূপরেখা প্রণয়ন করেছিলেন। তার প্রণীত রূপরেখা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত এই মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়াসহ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
একুশে সংবাদ/জা.নি./এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :