ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুনের দেওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিক্ষুব্ধ জনতা পাশের একটি স্কুলে থাকা নির্মাণশ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এতে দুইজন নিহত এবং পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁদের অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার দুই ভাই হলেন- জেলার মধুখালী উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ঘোপেরঘাট গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে আশরাফুল খান (১৭) ও তার ভাই আশাদুল খান (১৫)।
তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১২টায় দেখা যায়, পঞ্চপল্লী কালীমন্দিরে একটি প্রতিমা আগুনে পুড়ে গেছে। এর পাশে একটি নছিমন গাড়িতে আগুন জ্বলছে। তার পাশেই অবস্থিত পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ের টয়লেট নির্মাণকাজের জন্য এর একটি কক্ষে নির্মাণশ্রমিকেরা থাকতেন। মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগে সাত শ্রমিককে মারধর করা হয় বলে জানা গেছে স্থানীয় সূত্রে। ওই কক্ষে রক্তের দাগও দেখা গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মধুখালী থানা-পুলিশ। তারা আহত শ্রমিকদের উদ্ধারের সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপরও হামলার চেষ্টা চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে ফাঁকা গুলি চালিয়ে আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসাধীন দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। প্রশাসনের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, মন্দিরে আগুনের ঘটনা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে লোকজন উত্তেজিত হয়ে সেখানে জড়ো হয়। আগুন দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের অভিযুক্ত করে তারা স্কুলে গিয়ে শ্রমিকদের মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, সকালে এখানে বিজিবি মোতায়েনের জন্য চার প্লাটুন বিজিবি চাওয়া হয়েছে। মধুখালী ছাড়াও শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি মোতায়েন করা হবে। কাউকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সুযোগ দেওয়া হবে না।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :