AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অপতথ্য রোধে নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৭:০৫ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
অপতথ্য রোধে নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে অপতথ্য রোধ করা সম্ভব নয়। তাই অপতথ্য রোধ করতে একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নীতিমালা তৈরিতে সরকার কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট আরও শক্তিশালী করা হবে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সাংবাদিকদের জন্য একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া জনগণ তথ্য চাইলে সেটি দিতে দফতরগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘প্রশাসনিক অনেক জায়গায় তথ্য চাওয়া হলে তাদের মধ্যে তথ্য দিতে অনীহা দেখা যায়। আর এ জন্যই অপপ্রচারের সুযোগ তৈরি হয়। তাই আমরা অতি অল্প সময়ের মধ্যে যেন তথ্য সরবরাহ করতে পারি সে লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়কে তৈরি করছি। এতে আপনাদের দ্রুত তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারবো। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, তথ্য চাওয়া হলে, তথ্য দিতে হবে। তথ্য দেয়া ও চাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সংকোচ যেন না থাকে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সত্যটা জানতে চাই। সেটা পক্ষে হোক আর বিপক্ষে হোক। সরকারের ভুলভ্রান্তি থাকলে সমালোচনাও থাকবে। সেটি যেন যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে হয়। তথ্য বিভ্রান্ত করে গুজব রটানো যাবে না।’

অপতথ্য সমাজকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে অনেক বেশি অপতথ্য বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে সবচেয়ে বেশি অপতথ্যে বিস্তার ঘটছে। এই অপতথ্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই সমাজকে সবচেয়ে বেশি বিপদে ফেলছে। তথ্যের অবাধ ব্যবহার যেন সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে আমরা সেভাবে কাজ করছি। আমরা একটা নিয়ম নীতির মধ্যে এটিকে নিয়ে আসতে চাইছি। যাতে অপতথ্যের বিস্তার না ঘটে।

‘গণমাধ্যমের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে কীভাবে তথ্যের অপব্যবহার রোধ করা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি, যাতে আমরা সত্য তথ্য পাই। আমি মনে করি সঠিক তথ্য নিশ্চিত করতে কাজ করা উচিত। তেমনি অসত্য তথ্যের বিরুদ্ধেও আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব’, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের জন্য একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছি আমরা। মুক্তবুদ্ধির চর্চার মাধ্যমে তা জনগণের কাছে যেন তারা প্রকাশ করতে পারে। সমাজের অসংগতিগুলো তুলে ধরতে পারে। অনেক সময় তথ্যের অপব্যবহারও হয় এজন্য তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতাও থাকতে হবে। জবাবদিহিতা না থাকলে তথ্যের অপব্যবহার হতে পারে। প্রকৃত তথ্য না থাকলেই অপপ্রচারের সৃষ্টি হয়। আমরা সেভাবেই কাজ করছি।’

সাংবাদিকদের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা উচিত মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 
আপনারা চাচ্ছেন সাংবাদিকতায় শৃঙ্খলা আসুক। আমি আপনাদের সেই চাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবো। যেন একটি ন্যূনতম যোগ্যতা নিয়েই তারা কাজ করতে আসেন। এতে মিসলিডিং হওয়ার সুযোগ থাকে না। আমি সাংবাদিকতা পেশায় হস্তক্ষেপ করছি না। আপনাদের চাওয়াটাকেই সমর্থন জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন সরকারের ১০০তম দিনে আপনাদের মাঝে আসতে পেরে আনন্দিত। এ সময়টাতে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পেরেছি বলে মনে করছি না। তথ্য মন্ত্রণালয়টি অনেক বড় একটি মন্ত্রণালয়। আমার মনে হয় এটি সেরা ৫টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে রয়েছে। এই বিশাল মন্ত্রণালয়ের সবটা এখনো আমার জানা হয়নি। তবে অনেক কিছুই আমি জেনেছি ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যা যা আছে তা আরও গভীরে গিয়ে জানার চেষ্টা করছি।’

 

একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা    
 

Link copied!