সরকারি ওয়েবসাইট ও প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির তথ্য সংগ্রহ করে তাদের বিভিন্ন প্রলোভনে টাকা দেয়ার নাম করে প্রতারণার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দ্বারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, কুমিল্লা ও ফরিদপুর থেকে র্যাবের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে এই চক্রের মূল হোতাসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (২২ এপ্রিল) কারওয়ানবাজারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৫-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এসব তথ্য জানান।
মুনীম ফেরদৌস বলেন, গেল মাসে রাজশাহীতে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইলে মিজানুর রহমান নামে শিক্ষা অফিসের অ্যাকাউন্টেন্ট পরিচয়ে কল আসে। জানানো হয় মেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ-প্লাস পাওয়ায় শিক্ষা উপবৃত্তির সাড়ে ২২ হাজার টাকা দেয়া হবে। তবে মোবাইল ব্যাংকিং বা ডেবিট কার্ড নম্বর দিতে হবে। জানাতে হবে ওটিপি নম্বর। সবই করা হলে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অ্যাকাউন্ট থেকে বেনামে তুলে নেয়া হয় দেড় লাখ টাকা।
তিনি বলেন, বিষয়টি জানিয়ে অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ওই অভিভাবক। এরপর থেকে তদন্ত শুরু করে র্যাব। অভিযানে ধরা পড়ে শামীম নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্য। তার দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। উদ্ধার করা হয় তিন শতাধিক সিমকার্ড, তিন লাখ টাকা ও ব্যাংক লেনদেনের স্লিপ।
র্যাব-৫-এর অধিনায়ক বলেন, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য নিয়ে চক্রের সদস্যরা একেকজন একেক কাজ করত। চক্রের সঙ্গে সারা দেশে অন্তত দুই হাজার সদস্য জড়িত। তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারণার মাধ্যমে।
চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জাজান তিনি।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :