যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডাক যোগে খেলনার প্যাকেটে করে নতুন এক ধরনের গাঁজা পাঠিয়েছে অজ্ঞাতনামা মাদক কারবারিরা। এ ঘটনায় তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।
গ্রেফতারা হলেন- রাসেল মিয়া (২৯), রমজান মিয়া (২০) ও মো. ইমরান (২০)।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, গত রোববার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ডাক বিভাগের প্রধান কার্যালয় জিপিওতে ডাক যোগে আসা পার্সেলটি দেখে সন্দেহ তৈরি হলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে জানায় ডাক বিভাগ। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সদস্যরা যাচাই-বাছাই করে মাদক শনাক্ত করে। পার্সেলটিতে দেয়া ঠিকানা ভুয়া হলেও একটি মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে ঢাকার আশুলিয়া থেকে রাসেল নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
মুস্তাকীম বিল্লাহ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদক কারবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। তারা বেশ কিছুদিন ধরে এ ব্যবসা করছিলেন। তাদের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাদক কেনাবেচায় মানিলন্ডারিংয়ের বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
তিনি জানান, পার্সেলটি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে এসেছিল। এসময় গাঁজার নির্যাস থেকে তৈরি ছয় প্যাকেট টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিল যুক্ত কুশ, আমেরিকান গাঁজার তৈরি নয়টি চকলেট ও ১০টি কেক উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য কোটি টাকা। এসব গাঁজা সিনথেটিকভাবে তৈরি করা হয়। যা বাংলাদেশে উৎপাদিত গাঁজা থেকে শতগুণ ভয়াবহ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ ধরনের মাদক কার মাধ্যমে আসে, কারা সেবন করে, সে বিষয়গুলো তারা নিশ্চিত হতে পারেননি। গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে তাদের করা তিন হাজার ৬৬৯টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে সাজা হয়েছে ৪৬ শতাংশ মামলায়। এক হাজার ৯৭১টি মামলায় কারও অপরাধ প্রমাণ করতে পারেনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :