২০০ গাড়ি পেলে ২৩ হাজার কোটি টাকা আয়কর আদায় বাড়ানো সম্ভব। দাতা সংস্থা আইএমএফকে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কর্মকর্তারা জানান, গাড়ি কিনতে ২১০ কোটি টাকা খরচ হবে। আইএমএফের শর্তপূরণে আগামী অর্থবছরে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা আয়কর আদায় বাড়াতে হবে।
এনবিআরের হিসাবে, চলতি অর্থবছরে আয়কর আদায় হবে এক লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। আইএমএফের শর্ত পূরণে আগামী অর্থবছর দরকার এক লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা প্রায়। অর্থাৎ,আদায় বাড়াতে হবে ৪৩ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর জানিয়েছে, স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি থেকে আসবে ১৬ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২৬ হাজার কোটি আদায়ে ১০ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উৎসে কর মনিটরিং থেকে আসবে ২৩ হাজার কোটি টাকা। ছাড় কমিয়ে এক হাজার কোটি, সেবার মান বাড়িয়ে পাঁচশ কোটি ও মাঠ পরিদর্শন থেকে আসবে আরও ৫০০ কোটি।
বর্তমানে মোট আয়করের প্রায় ৬০ ভাগই আসে উৎসে কর থেকে। এনবিআর জানিয়েছে, এখাতে নজরদারি বাড়ানো গেলে পূরণ হবে রাজস্বের বড় চাহিদা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব উদ্যোগের পাশাপাশি কর ফাঁকি রোধ ও করের নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিস্কারে মনযোগ দিতে হবে।
এনবিআরের সাবেক সদস্য আলমগীর হোসেন জানান, ‘উৎস কর আদায়ের জায়গাটি যদি আমরা আরো শক্তিশালী করতে পারি এবং এটাকে যদি বিশ্লেষণ করে ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো চিহ্নিত করতে পারি তাহলে কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব। একই সাথে কর ফাঁকির দিকে নজর দিতে হবে।’
আইএমএফকে এনবিআর জানিয়েছে, রাজস্ব বৃদ্ধি নিশ্চিতে দিতে হবে লজিস্টিকস সুবিধা। কর আদায় প্রক্রিয়ায় নজরদারি বাড়াতে জুনের মধ্যে একশ জিপগাড়ি ও একশটি মাইক্রোবাসের শর্ত দিয়েছে সংস্থাটি।
সাবেক কর কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রতি ১০০ টাকা আদায়ে বাংলাদেশে মাত্র ৪৮ থেকে ৫০ পয়সা খরচ হয়, অথচ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেসমূহে কোথায় ৮০ পয়সা থেকে সোয়া এক টাকা খরচ হয়। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে লোকবল নিয়োগ এবং লজিস্টিক সার্পোট দিলে আজকে যে রাজস্ব হয়েছে আগামীকাল তা দ্বিগুণ হবে।’
আয়কর বিভাগের সক্ষমতা বাড়াতে অর্থমন্ত্রণালয়ে একটি বিশদ চাহিদা দিয়েছে এনবিআর। ভবন নির্মাণ, কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, ডিজিটাইজেশনসন নানা বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে আনুমানিক চার হাজার কোটি টাকা।
একুশে সংবাদ/জ.ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :