বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিসিএস, ব্যাংক ও বিভিন্ন সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জন খালাস পেয়েছেন। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত সম্প্রতি এ রায় দেন। সাড়ে ছয় বছর আগে মামলাটি করা হয়।
খালাস পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ২১ জন ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী, আটজন চাকরিজীবী-ব্যবসায়ী ছাড়াও বিসিএস নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ব্যক্তিও রয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মহিউদ্দিন রানা ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে সিআইডি।
পরদিন তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারায় মামলা হয়।
২০১৯ সালের ২৪ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি সুমন কুমার দাস মামলা তদন্ত করে এ চক্রের মোট ১২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। যারা বিভিন্ন সংস্থার নিয়োগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। তাদের মধ্যে ৮৭ জন ঢাবির শিক্ষার্থী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
রায়ের তথ্য বলছে, চার্জ গঠনের পর আদালতে সাক্ষীদের হাজির করতে সমন, গ্রেফতারি পরোয়ানা ও অজামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও রাষ্ট্রপক্ষ মাত্র একজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে। সেই সাক্ষীও অভিযোগ সমর্থন করে কোনো সাক্ষ্য দেননি। আইসিটি আইনের যেসব ধারায় (৫৭ ও ৬৩) অপরাধের অভিযোগ মামলায় আনা হয়, তা বিচারে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাই আসামিদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
রায়ে আদালত বলেছেন, একই অপরাধের অভিযোগে মামলায় আলাদা অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। কিন্তু এক অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তিকে একাধিকবার ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি ও দণ্ডিত করা যায় না।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর প্রসিকিউশন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/স.টি/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :