নিজেদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা’ এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
সর্বশেষ জেলা প্রশাসক সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের উপস্থাপিত প্রস্তাবনা তুলে ধরে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সিভিল সার্ভিস অফিসারদের জন্য মাস্টার্স এবং উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণ এবং তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা সিভিল সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। সেখানে মোট ২৪টি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সরকারের কাছে অনেকেরই অনেক চাওয়া থাকে। অনেকে অনেক কিছু প্রত্যাশাও করে থাকেন। এখন দেখতে হবে, সেসব চাওয়া ও প্রত্যাশার মধ্যে বাস্ততা ও যৌক্তিকতা কতটুকু রয়েছে। কিন্তু কোনো গোষ্ঠীকেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নজির বিশ্বের কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই।’
সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। তবে ইউনিভার্সিটি একটি বিশাল বিষয়। এখানে ‘ইউনিভার্স’ এর কথা বলা হয়েছে। একটি বিশ্বিবদ্যালয়ের সঙ্গে অনেক বৈচিত্রময় বিষয় যুক্ত থাকে। এখানে উচ্চশিক্ষা এবং মেধা ও মননের বিকাশের বিষয়গুলো যুক্ত থাকে। যেখানে বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির ছাত্রছাত্রীরা উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের জন্য এসে থাকেন।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য পৃথক হাসপাতাল করেছি। কিন্তু এখানে শুধু সরকারি কর্মচারীই চিকিৎসা নেন, বিষয়টি এমন নয়। সেখানে বিভিন্ন শেণি-পেশার মানুষও চিকিৎসা নেন। তবে সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল আর একটি বিশ্ববিদ্যালয় এক কথা নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মেধা ও সময়োপযোগী শিক্ষার প্রসারে এবং দক্ষ যোগ্যতাসম্পন্ন নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। সামনে হয়তো আরও বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তবে সবকিছুই যৌক্তিক ও বাস্তবতার নিরিখে হতে হবে।’
একুশে সংবাদ/এন.টি/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :