আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ নিয়ে বিশেষ পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, আগামী ৮ মে ভোটের জন্য কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ ও প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কাস্টমাইজেশনসহ নির্বাচন উপযোগী করে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইভিএম ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে প্রার্থী এবং ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক প্রচার করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ইভিএম ব্যবহার যেহেতু একটি কারিগরি বিষয়, তাই এর ব্যবহার, কার্যকারিতা এবং সফলতা সম্পর্কে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট এবং ভোটারদের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের সুবিধার্থে ইভিএম ব্যবহার পদ্ধতি বিষয়ক একটি নির্দেশিকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক কপি প্রেরণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা গেছে, দেশব্যাপী এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চার ধাপে। প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের দুইদিন এবং পোলিং অফিসারদের একদিন নিবিড় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
নির্দেশনায় ইভিএমের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারেও তাগিদ দেওয়া হয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়, যত্ন সহকারে ইভিএমের পরিবহন, সংরক্ষণ ও কার্যকারিতা যাচাই করতে হবে। ইভিএম ইলেকট্রনিক ডিভাইস, তাই মেশিনগুলোকে সারিবদ্ধভাবে রেখে যথাযথ নিরাপত্তার সঙ্গে পরিবহন করতে হবে। ভোটগ্রহণের আগের দিন অন্যান্য নির্বাচনী মালামাল সহকারে ইভিএমগুলো প্রিজাইডিং অফিসারকে বুঝিয়ে দিতে হবে এবং প্রিজাইডিং অফিসাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ অবশ্যই প্রতিটি ইভিএমের কার্যকারিতা ও সঠিকতা যাচাই করবেন। কোনোরূপ ত্রুটিবিচ্যুতি পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রিজাইডিং অফিসার রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করবেন। রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন ভবনের ৭২১ নং কক্ষে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমকে অবহিত করে ত্রুটিবিচ্যুতি সংশোধন অথবা প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ ছাড়া পরিপত্রে প্রতিটি কেন্দ্রে কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন প্রশিক্ষিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, মোবাইল কারিগরি টিম, বিভিন্ন ধরনের কার্ডের পিন ও পাসওয়ার্ডের গোপনীয়তা রক্ষার জন্যও বলা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :