তীব্র তাপদাহের কারণে দেশে স্যালাইনের চাহিদা বেড়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র তৈরি করছিল নকল স্যালাইন। দেখতে হুবহু আসল চিনি-লবণ মিশিয়ে তৈরি হচ্ছিল টেস্টি ও ওরস্যালাইন
স্যালাইনের প্যাকেট। কালার, সাইজ ও বক্স দেখে পরখ করার কোনো উপায় নেই যে এগুলো নকল। আর এগুলো বাজারজাতও করছিল চক্রটি। অবশেষে সেই চক্রের তিন সদস্যকে মতিঝিল থেকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিএমপির ডিবিপ্রদান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এর আগে শুক্রবার মতিঝিল থেকে গ্রেফতার করা হয় চক্রের সদস্যদের।
হারুন অর রশীদ বলেন, চক্রটি এমএমসি স্যালাইন ব্র্যান্ডকে নকল করে এনএমসি লিখে মোড়ক বানাতো। চক্রটির তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আমরা তাদের কাছ থেকে দুই হাজার ৮০০ প্যাকেট নকল স্যালাইন উদ্ধার করেছি। সাত কার্টুন টেস্টি স্যালাইন উদ্ধার করা ছাড়াও বাকিগুলো তারা কোথায় কোথায় দিয়েছে, কোন ফার্মেসিতে বিক্রি করেছে তা আমরা জানার চেষ্টা করছি।
ডিবিপ্রধান বলেন, তারা মানবতার ফেরিওয়ালা সেজে এসব নকল স্যালাইন বিতরণ করছিল। আবার যারা আসল মানবতার সেবক তারাও তাদের কাছ থেকে কিনছে। তারা ঢাকা ও ঢাকার বাইরে খেটে খাওয়া মানুষজনের মাঝে এগুলো বিতরণ করে। মানুষও এগুলো খাচ্ছে। মানুষ সাধারণত ডায়ারিয়ায় পানিশূন্যতায় ভোগে। শরীরে ইলেকট্রলাইট বের হয়ে যায়। তখন স্যালাইন খায়। এই নকল স্যালাইন খাওয়ার পর ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি হয়। কিডনি হার্ট লিভারের সমস্যা বেড়ে যায়। এমনকি ব্রেন ড্যামেজও হয়।
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, চক্রটি চিনি-লবণ মিশিয়ে তৈরিকৃত প্যাকেটজাত স্যালাইন মানুষের কাছে বিলি ও বিক্রি করছিল। যেহেতু মানুষের স্যালাইন দরকার তারা তা কিনে গ্রামে পাঠাচ্ছে। আমরা চক্রটির চারজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তারা এসব স্যালাইন নকল হওয়ার বিষয়টি আমাদের কাছে স্বীকার করেছে।
একুশে সংবাদ/ঢ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :