আপাতত বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নেই। বর্তমানে দেশে ৩টি আন্তর্জাতিক, ৭টি অভ্যন্তরীণ ও ৫টি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। তারমধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ৩টি এবং ৫টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এ সব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরিণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।
রোববার ৫ মে জাতীয় সংসদে এমপি আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ৩টি আন্তর্জাতিক, ৭টি অভ্যন্তরীণ ও ৫টি স্টল বিমান বন্দর রয়েছে। তারমধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ৩টি এবং ৫টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এ সব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরিণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইন্সগুলোর আগ্রহের প্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালু করার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।
নিম্নে দেশের বিমানবন্দরগুলোর তালিকা:
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (চট্টগ্রাম), ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (সিলেট), যশোর বিমানবন্দর, শাহ মখদুম বিমানবন্দর (রাজশাহী), সৈয়দপুর বিমানবন্দর, বরিশাল বিমানবন্দর, কক্সবাজার বিমানবন্দর, তেজগাঁও বিমানবন্দর, ঈশ^রদী বিমানবন্দর (পাবনা), লালমনিরহাট স্টল বিমানবন্দর, ঠাকুরগাঁও স্টল বিমানবন্দর, শমসের নগর স্টল বিমান বন্দর (মৌলভীবাজার) কুমিল্লা স্টল বিমানবন্দর, বগুড়া বিমানবন্দর। এর মধ্যে তেজগাঁও বিমানবন্দরটি বেবিচকের আওতায় নেই বলে মন্ত্রী জানান।
নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, বিমানবন্দরের যাত্রী সেবার মান-উন্নয়ন, যাত্রী হয়রানি বন্ধ এবং সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সেবা দেয়া সব সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স নিয়মিত সভা করে থাকা। উল্লেখ্য, এ বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে গমনকারী এবং বিদেশ হতে আগত সাধারণ যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বিমানবন্দরের ৩টি পজিশন হতে সম্পাদন করা হয়ে থাকে। ভিআইপি যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম পৃথক জায়গা হতে সম্পাদন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ই-পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ২৬ টি ই-গেইট রয়েছে। ইমিগ্রেশন কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদনের জন্য অপেক্ষমান যাত্রী সাধারণের আধিক্য/চাপের বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটর করে তা বিভিন্ন বুথের মধ্যে সমন্বয় করা হয়ে থাকে। এছাড়া, ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সহজকরা ও গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য যাত্রী সাধারণের সাথে সৌন্দর্যমূলক আচারনের বিষয়ে বেবিচক ইমিগ্রেশন পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তদুপরি, ইমিগ্রেশন কার্যক্রম আরো দ্রুত সম্পাদনের জন্য ব্যবস্থাপনার মান্নোয়নের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :