ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ওআইসি নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
স্থানীয় সময় শনিবার (৪ মে) গাম্বিয়ার বানজুলে ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
ফিলিস্তিনের নিরপরাধ জনগণের ওপর ইসরায়েলের আগ্রাসনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসনের অবিলম্বে অবসান, দুর্দশাগ্রস্তের জন্য নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা ও শাস্তি নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে গাজায় চলমান সংকট সমাধান সম্ভব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর সুদুরপ্রসারী পররাষ্ট্রনীতি ও প্রজ্ঞায় মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক স্থাপন ও উন্নয়নের কথা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি সদস্যপদ লাভের পর থেকেই ওআইসির বিভিন্ন উদ্যোগে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
হাছান মাহমুদ বিশ্বব্যপী ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়ার বিস্তারে উৎকন্ঠা প্রকাশ করে এই ফোবিয়ার ক্রমবিস্তার রোধে ওআইসিকে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইসলামোফোবিয়া দূরীকরণের জন্য একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তুর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা দায়ের করার জন্য গাম্বিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং সুষ্ঠুভাবে মামলা পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে অনুরোধ জানান।
উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতায় ওআইসির মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :