উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে দেশের অর্থনীতি কতটা চাঙ্গা হবে এবং স্থানীয়রা কতটা উপকৃত হবে তা বিবেচনায় নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৭ মে) গণভবনে স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কার্যক্রম রূপরেখা সংক্রান্ত উপস্থাপনা অবলোকনকালে তিনি এ নির্দেশ দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রথমে ভাবতে হবে ফলাফল কি হবে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে একটি প্রকল্প নেওয়ার পরে জনগণ কতটা উপকৃত হবে। আমাদের দেশের উন্নয়ন এমনভাবে করতে হবে যাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে এবং অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের সময় এসেছে যে ২০২১ থেকে ২০৪১। এটা মাথায় রেখে প্রত্যেকটা পরিকল্পনায় সবার আগে যে বিষয়টা আমাদের মাথায় নিতে হবে যে তাতে আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কতটুকু গতিশীল হবে, স্থানীয় মানুষের কতটুকু উন্নতি হবে। এ যে এত টাকা খরচ করে করলাম তার ফলাফলটা কী হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা একটি লক্ষ্য নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাঁর সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল জনগণের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আর গবেষণার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির করে আমরা সফলভাবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।
তিনি বলেন, তার সরকার রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিল এবং উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভের মধ্যদিয়ে সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে রূপান্তর করা। আমরা সেই রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :