প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে, এখন ঘরে বসেই হজের সব কাজ করা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে সেটা আরও উন্নত করা হবে জানিয়ে এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা এবং হজযাত্রীদের দোয়া কামনা করেছেন সরকারপ্রধান।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে এবারের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো সেটা, ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম, আজ তা বাস্তবায়ন হয়েছে। আর বাস্তবায়ন হয়েছে বলেই সেই সুযোগ সুবিধাটা দেশবাসী পাচ্ছে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে, তখন হজযাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়বে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়তে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ উৎক্ষেপন করা ব্রডব্যান্ড সংযোগ সমস্ত জায়গাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এসব কাজ করার কারণে কিন্তু সহজ পদ্ধিতে হজের কাজগুলো আপনারা করতে পারছেন। কোনো রকম হয়রানির হতে হয় না এখন। অনলাইনে হজের রেজিস্ট্রেশন করা যায়, তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকাতে ডিজিটাল সেন্টার করা হয়েছে, সেখানে গিয়েও রেজিস্ট্রেশন করা যায়। আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের সেই সুযোগটা সৃষ্টি করে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, হজ ব্যবস্থাপনা উন্নত করা হয়েছে বলেই ভালো সেবা পাচ্ছেন হজযাত্রীরা। একটি আন্ডারপাস করে দেয়া হয়েছে। এরফলে হজক্যাম্প থেকে বিমানবন্দরে আন্ডারপাস দিয়ে যোগাযোগ করা যাচ্ছে।
হজযাত্রীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া করবেন, সারাবিশ্বের জন্য দোয়া করবেন। আপনারা দেখছেন ফিলিস্তিনে কী হচ্ছে, তাদের জন্যও দোয়া করবেন। সব মুসলিম দেশ যদি একযোগে কাজ করত, তাহলে ফিলিস্তিন ইস্যুতে আমরা আরও অগ্রগামী হতে পারতাম। আরব বিশ্বে ফিলিস্তিন তাদের ভূখণ্ড পাবে, এটা তাদের অধিকার। সে অধিকার তাদের দিতে হবে। এ অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ১৯৮৪ সালে তিনি প্রথম ওমরা করেন এবং ১৯৮৫ সালে প্রথম হজ করেন। প্রতিবারই গিয়ে যে যে সমস্যা দেখেছেন সেটা সৌদি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন এবং তারা এসব বিষয়ে তাকে গুরুত্ব দিয়েছে।
হজযাত্রীদের জন্য তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে শেখ হাসিনা বলেন, জেদ্দা বিমানবন্দরে আমরা ছাউনি ভাড়া নিয়েছি। আমি দেখেছি, আগে সেখানে কষ্ট হতো। সরকারে এসে আমি আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করি। এখন আর জেদ্দা বিমানবন্দরে ভোগান্তিতে পড়তে হয় না।
এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি ১৪৪৫ সালের হজ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণার পর হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বছর বৃহস্পতিবার (০৯ মে) থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে হজ ফ্লাইট চালু হওয়ার কথা রয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩৩০১ বিমানটি ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। একই দিন দুপুর ১টায় সৌদি আরবের ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।র মক্কা এবং মদিনায় পৌঁছাতে পারবেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ যাত্রা শুরু হবে।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :