সড়ক দুর্ঘটনা এখন দেশে জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে সার্বিক পদক্ষেপ থাকা প্রয়োজন। বিভিন্ন সংগঠন ও নিসচার দাবির ফলে সরকার ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে ও পালন করে আসছে।
নিরাপদ সড়ক চাই-এর সমাবেশে এসে নিজের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার স্মৃতিচারণ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম। এতে করে পরবর্তীতে অনেক স্বপ্ন পূরণ করতে পারিনি।
শনিবার ১১ মে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর ১০ম মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এভাবেই সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় নিসচার সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনসহ অন্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমিও সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম। আমার অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল—যে আমি এটা হব, সেটা হব। কিন্তু আমি সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে আমার সব আশাই স্তম্ভিত হয়েছিল। কিন্তু মহান রাব্বুল আলামিন এক রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন কিন্তু রাজনীতিতে আসার রাস্তাটা বোধ হয় ওপেন করে রেখেছিলেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে ২০২৩ সালে পাঁচ হাজার ৪৯৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ২৪ জন। এটা বেশ উল্লেখযোগ্য একটা সংখ্যা। শহরে ২৫ ভাগ সড়ক থাকা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো শহরে তা নেই। এর জন্য উড়ালসড়ক, ফ্লাইওভার হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ছয় দফা নির্দেশনাও দিয়েছেন। আমরা জেনেও আইন মানি না। এতে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ে।’
মন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ আগে খতিয়ে দেখা উচিত। সবচেয়ে বেশি সচেতনতার অভাব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অদক্ষ ও অসচেতন চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি বাদ দেওয়া, চালকের মোবাইল ফোনে কথা বলা, অনিরাপদ ও ভঙ্গুর সড়ক, ট্রাফিক আইন মেনে না চলা, পুলিশের গাফিলতি, লাইসেন্স বিহীন গাড়ি এমন অনেক কারণ আছে।
একুশে সংবাদ/আর.টি/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :