যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশে আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ১৪ ও ১৫ মে দুদিন থাকবেন তিনি।
তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিনের প্রথম ভাগে কলম্বো থেকে ডোনাল্ড লুর ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। গেল জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে এটিই তার প্রথম সফর।
সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরের প্রথম দিন রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার তিনি পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন।
পরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিন দিনের ঢাকা সফরের সময় ডোনাল্ড লুর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময়ের কথা রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, ভারত, শ্রীলঙ্কা সফরের পর বাংলাদেশ সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু। তার এ সফরের মধ্য দিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা ওয়াশিংটনের। যুক্তরাষ্ট্র যে মুক্ত, অবাধ ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল দেখতে চায়, ডোনাল্ড লুর সফরে সেটাই গুরুত্ব পাবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলছে, ঢাকা সফরে দুদেশের সহযোগিতার সম্পর্ক ছাড়াও জলবায়ু সংকট ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা নিয়ে আলোচনা করবেন ডোনাল্ড লু।
এদিকে, সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা-ভিসানীতির মতো ইস্যুতে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে যে রেখাপাত হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। ডোনাল্ড লুর সফরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হবে বলেও আশাবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :