পাঁচ দিন আগে হজ ফ্লাইট শুরু হলেও এখনো অনিশ্চয়তায় প্রায় ৯ হাজার বাংলাদেশি। বাড়িভাড়া ও আনুষঙ্গিক কাজ শেষ না হওয়ায় তারা পড়েছেন ভিসা জটিলতায়। এজন্য এজেন্সিগুলোকে দায় দিচ্ছেন হজযাত্রীরা। দুই দিনের মধ্যেই জটিলতা কেটে যাওয়ার আশ্বাস দিচ্ছে হজ অফিস ও হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাব।
সোমবার (১৩ মে) বিকেল পর্যন্ত হজযাত্রায় সৌদি আরব গেছেন প্রায় ১৭ হাজার বাংলাদেশি।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী মোট ৮৫ হাজার। রাজধানীর আশকোনায় হজক্যাম্পে চলছে তাদের ইমিগ্রেশনসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা। ভোগান্তি ছাড়াই কাজ সম্পন্ন হওয়ায় স্বস্তি হজযাত্রীদের।
এদিকে, প্রায় ৯ হাজার বাংলাদেশির হজে যাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বাড়ি ভাড়া ও আনুষঙ্গিক কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকায় ভিসা হয়নি তাদের। যদিও নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধিত সব হজযাত্রীকে সৌদি আরবে পৌঁছানোর আশ্বাস হাব ও হজ অফিসের।
হজ পরিচালাক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘হজযাত্রীদের সুবিধার্থে সহযোগীতার জন্য ৫০০ ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে। ভিসা জটিলতা বা এ ধরনের কোনো বিষয় এখন নেই। এখন যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো হলো শারীরিক সমস্যা।’
হাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, ‘বাড়ি ভাড়া, মোয়াল্লেম সিলেকশন, মিনায় লোকেশন সিলেকশন, সার্ভিস প্রোভাইডার সিলেকশন, ক্যাটারিং, ট্রান্সপোর্টেশন এগুলো সব ঠিক করে তারপর ভিসা করতে হয়। তাছাড়া সৌদি আরবের যে বর্তমান ভিসা পদ্ধতি সেটা টেকনোলজি বেইজড, আইটি। এখানে অনেক সময় সার্ভার ডাউন থাকে, ঠিকমত পারফর্ম করে না। আগামী দুই দিনের মধ্যে সব ভিসা হয়ে যাবে।’
সোমবার আটটি ফ্লাইটে ৩ হাজার ২০০ হজযাত্রী জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। এবারের হজ ফ্লাইট শুরুর পর এ পর্যন্ত সৌদি গেছেন প্রায় ১৭ হাজার বাংলাদেশি। শেষ হজ ফ্লাইট আগামী ১২ জুন।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :