AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০২:১৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪
শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল

অতি তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল জনজীবন। তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল, ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দেশের বৃহদাংশ ছিল উত্তপ্ত চুল্লির মতো। প্রাণ-প্রকৃতিতে যখন নাভিশ্বাস উঠেছিল; ঠিক তখনই স্বস্তি নিয়ে আসে বৃষ্টি। এতেই কমেছিল তাপমাত্রা। স্বস্তি ফিরেছিল জনজীবনে। এখন শুধুই অতীত। বৃষ্টির দেখা মিলছে না গত পরশু, অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে। দেশের কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ।  

এরই মধ্যে দুই দিনের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২০ মের পর সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা আছে। সেটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপের ধাপ পেরোতে পারে। যা শক্তিশালী হয়ে তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে সেটা বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে কিনা তা এখনও বলা যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের বিভিন্ন মডেল পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ২১ তারিখের পর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। যেটি পরবর্তীকালে লঘুচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আছে।

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হলে কোথায় আঘাত হানতে পারে এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। এটির গতিপ্রকৃতি এখন স্পষ্ট নয়। লঘুচাপ সৃষ্টির পর বলা যাবে।’

আবহাওয়া অফিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ইতোমধ্যে শক্তি সঞ্চার করছে। আগামী ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। সেটি সোজা উত্তর দিকে শক্তিবৃদ্ধি করবে। ২৪ মে এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। ২৫ মে সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসতে পারে।  

হিন্দুস্তান টাইমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টির নাম রেমাল। এর নামকরণ করেছে ওমান।  

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রেমালও আম্ফানের মতো বিধ্বংসী হতে পারে। তবে এটির শক্তি কতটুকু; শেষ পর্যন্ত সুপার সাইক্লোনে রূপ নেবে কিনা, তা জানতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।  

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২১ মে প্রবল শক্তি নিয়ে দেশের উপকূলে আঘাত হানে আয়লা। সে সময় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় দেশের কৃষকদের। ২০২০ সালের ২০ মে দেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে সুন্দরবনের কারণে রক্ষা পাওয়া গেছে সে যাত্রায়। এবার সেই আয়লা-আম্ফানের মাসেই ধেয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের।  

 

একুশে সংবাদ/ম.ন.প্র/জাহা

 

Link copied!