বিশ্বের সব শহর ছাপিয়ে ১৯ মে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাই প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজুয়াল’-এর বায়ুমান সূচক (একিউআই) অনুযায়ী, ১৯ মে বেলা সাড়ে ৩টায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে ঢাকা।
১৯ মে সকালে ঢাকা ছিল তৃতীয় অবস্থানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করে দূষণের মাত্রা। দুপুর ১২টা নাগাদ ঢাকা উঠে আসে দ্বিতীয় অবস্থানে, তখন বায়ুর মান ছিল ১৪২। বেলা সাড়ে ৩টায় অবস্থান আরও ওপরে উঠে শীর্ষ স্থানে পৌঁছে যায় ঢাকা। এ সময় মাত্রা ছিল ১৫৫। ঢাকার পর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চীনের উহান, সেখানকার মাত্রা ১৫৫। তৃতীয় অবস্থানে আছে দিল্লি, এর বাতাসের মান ১৫২।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী, বায়ুর মানমাত্রা শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে সেটিকে ভালো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি মধ্যম মানের বায়ু, ১০১ থেকে ১৫০ হলে বায়ুর মানে সাবধানতা বা সতর্কীকরণ করা হয়। বায়ুর মান ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে বায়ু খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১-এর বেশি হলে চরম অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সে হিসেবে আজকের মাত্রা অস্বাস্থ্যকর।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আবহাওয়ার সঙ্গে বায়ুদূষণের একটি সম্পর্ক তো আছেই। তাপমাত্রা বাড়লে বাতাসে ধুলোবালি বেড়ে যায়। এতে বায়ুদূষণও বেড়ে যায়। তবে এখনকার দূষণের মূল কারণ শুধু তাপমাত্রা নয়, রাস্তার যত্রতত্র চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এসব খোঁড়াখুঁড়ি করা হয় ঢেকে। আমাদের এসব কিছুই মানা হয় না। রাস্তায় খোঁড়া বালি, মাটি এসব বাতাসে মিশে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি ঈদকে সামনে রেখে ফিটনেসবিহীন যানবাহন আবার বেড়ে গেছে। এই দুইটি বড় কারণ বায়ু দূষণের জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন যানবাহন আটকাতে মাঝে একবার পুলিশ টানা অভিযান চালিয়েছিল। তাতে ফিটনেসবিহীন যানবাহন কমার পাশাপাশি কমে এসেছিল বায়ুদূষণও। এই ক্ষেত্রে সরকারের ধারাবাহিক কাজ করে যেতে হবে।
একুশে সংবাদ/ বা.ট্রি./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :