কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, গত অর্ধশতাব্দীতে বাংলাদেশে চালের উৎপাদন চার গুণেরও বেশি বেড়েছে। দেশে এখন চালের ঘাটতি নেই। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়েই চাহিদা মেটানো যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে চলমান ১০ম ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ফোরামের ‘গ্রহ ও মানুষের জন্য ধান’ শীর্ষক মিনিস্টিরিয়াল সেশনে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এ সেশনের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কৃষক এবং কৃষির কল্যাণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। কৃষির কল্যাণে ভর্তুকি বাড়ানোর পাশাপাশি গবেষণা খাতে বাজেট বৃদ্ধি, গবেষণা অবকাঠামোর উন্নয়ন, গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। এসব বহুমুখী উদ্যোগ বিশ্বে বাংলাদেশকে কৃষিপণ্য উৎপাদনের রোল মডেলে পরিণত করেছে; বিশেষ করে চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা বজায় রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করেছে।
এ সময় টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তাগিদ দেন ড. মো. আব্দুস শহীদ।
সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্যারোলিন টার্ক। সূচনা বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ম্যানেজার মাইকেল জে. ওয়েবস্টার। এছাড়া আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রী লি গিউইং, ইন্দোনেশিয়ার কৃষিমন্ত্রী আন্দি এমরান সুলাইমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ মন্ত্রী আমনা বিনতে আব্দুল্লাহ আল দাহাক।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর এবং যুগ্মসচিব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
একুশে সংবাদ/স.টি/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :