বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল প্রেরণ করা হবে ও এ বিষয়ে দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২১ মে) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো জানান, ইতালি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। ইতালি ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সেজন্য ইতালিতে বাংলাদেশের দক্ষ জনবলের কাজের সুযোগ তৈরি করতে আগ্রহী।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে ইতালি বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে বাংলাদেশ তার জনবলকে চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে।
প্রবাসী কর্মীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতালি দক্ষ জনবলের চাহিদাপত্র দিবে, সেই পত্রের বিপরীতে যাতে কম খরচে কর্মী প্রেরণ করবে। দক্ষ জনবল তৈরির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতালি সরকার চাইলে আমাদের টিটিসিগুলোতে তাদের চাহিদা মত জনবলকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকে আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে বৈধ অভিবাসন বাড়ানো যায়। ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার বিষয় তিনি বলেন, যারা যোগ্য তাদের আমরা ভিসা দিতে আগ্রহী। দূতাবাস দ্রুত ভিসা দেয়ার প্রক্রিয়া তৈরি করছে। গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার কারণে আমাদের অনেক সময় দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে।
আমি বিশ্বাস করি, যারা ইতালি গমনেচ্ছু কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে সেটি প্রকৃত আবেদনকারীদের ক্ষতির কারণ হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার কারণেই প্রকৃত আবেদনকারীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে।
ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আপনারা নতুন কোন প্রক্রিয়া হাতে নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
একুশে সংবাদ/চ.ট/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :