ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতে গিয়ে ‘নিখোঁজ’ হওয়ার পর আজ কলকাতায় নিউটাউনের ভাড়া করা একটি ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনা আটক করা হয়েছে তিন জনকে। যদিও তাদের পরিচয় এখনও সামনে আসেনি।
ভারতের পুলিশ ও গোয়েন্দারা ইতিমধ্যে তার নিখোঁজ ও মৃত্যুকে ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে। তবে ক্রমেই তা রহস্যময় উঠছে।
ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্র বলছে, দেশটিতে যাওয়ার সময় আনারের সঙ্গে দুই জন সঙ্গী ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে এমপির সঙ্গে ওই দুই জনকে দেখা গেছে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সূত্রও জানিয়েছিল, আনার একা ভারতে যান নাই।
সূত্রের দাবি, এমপি আনারের সঙ্গে ভারতে যাওয়া ওই দুজনের নাম জানা না গেলেও তারা দীর্ঘদিনের পরিচিত। একটি সূত্রের খবর, ভারতে আসার কয়েকদিন পরেই নিজের দেশে ফিরেছেন ওই দুই জনেই। তবে অন্য সূত্র বলছেন, এখনও তারা ভারতে আছেন এবং ভারতীয় পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এদিকে এমপি আনারকে হত্যার কথা বলা হলেও এখনও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর স্থানীয়রা বলছেন, যে বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই বাড়িতে মঙ্গলবার থেকেই পুলিশের আনাগোনা ছিল।
এদিকে তদন্তের শুরুতে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের কাছে থাকা একটি ডাইরির বিষয়টি সামনে এসেছে। বলা হচ্ছে, ওই ডাইরিতে কিছু তথ্য আছে, যা তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা যাচ্ছে না। ধারনা করা যাচ্ছে, এমপি আনারের ব্যবসা সংক্রান্ত কোনো তথ্য সেখানে আসতে পারে।
ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের এই এমপির মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে আরেকটি বিষয় দেশটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সামনে এসেছে। তা হলো এমপি আনারের মোবাইল ফোন।
তিনি নিখোঁজ হওয়ার আগ পর্যন্ত থেকে শুরু করে সর্বশেষ লোকশন থেকে হোয়ার্টস অ্যাপে সব বার্তা দেওয়া হয়েছে। একবার তার ফোন থেকে পিএসকে ফোন করাও হয়েছিল। পিএস সেটি রিসিভ করতে পারেনি। পরে ফিরতি কল করা হলেও এমপি আনার ফোন ধরেন নাই। এমনকি তার সর্বশেষ লোকশন যখন বিহার ও ঝাড়খান্ডে ট্রেস হলো, তার পর মরদেহ মিললো কলকাতায়!
এমন সব ধাঁধায় দেশটির পুলিশসহ গোয়েন্দাদের সন্দেহ তার ফোনেই হয়তো লুকিয়ে আছে মৃত্যুর রহস্য। আদৌ কি মোবাইল ফোনটি এমপি আনারের কাছে ছিল? এর উত্তর জানতে হয়তো আরও কিছু অপেক্ষা।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :