মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তীব্র তাপ্রবাহে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। টানা কয়েকদিন ধরে ভ্যাপসা গরম আর ঠাঠা রোদে শ্রীমঙ্গলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনে নাভিশ্বাস ওঠেছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির অসম্ভব গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন উপজেলাবাসী। বিশেষ করে ভ্যান চালক, রিক্সা চালক, চা শ্রমিকসহ শ্রমজীবি মানুষেরা পড়েছেন বড় বিপাকে।
শনিবার (২৫ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান জানান, শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। আজ বিকেল ৩ টায় শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৪ মে) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তিনি বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এদিকে উপজেলায় গরমজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত তিন দিনে হাসপাতালে গরমজনিত রোগে আক্রান্তরা বেশি ভর্তি হয়েছেন।
এদের মধ্যে বমি, ডায়রিয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া মানুষ আছে। শিশু ওয়ার্ডেও বেড়েছে গরমের কারণে ডায়রিয়া বা জ্বর-স্বর্দিতে ভোগা শিশুদের সংখ্যা। এছাড়া প্রচন্ড গরমে বয়স্ক মানুষ, দুগ্ধ পোষ্য শিশু, কিশোর-কিশোরী, শ্বাসকষ্টের রোগী, দীর্ঘ সময় রোদে কাজ করে এমন পেশাজীবী কৃষক, চা-শ্রমিক, রিকশাওয়ালা, নির্মাণ শ্রমিকও রয়েছেন বলে জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে শ্রীমঙ্গলে ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত না হলে আগামী দু-তিন দিনে তাপমাত্রা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রোববার (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কিছু এলাকায় বৃষ্টি হবার পাশাপাশি তাপমাত্রা কমে আসতে পারে বলে জানিয়ে আবহাওয়া অফিস।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :