বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হওয়ায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বার ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৬ নম্বার সতর্ক সংকেত বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) রাতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে ব্রিফ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান।
তিনি জানান, রোববার (২৬ মে) ভোরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোববার ভোর থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানতে শুরু করবে। সন্ধ্যার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৮ থেকে ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
তিনি বলেন, উপকূলবর্তী সব জেলাকে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় সব মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আনার জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ছয়টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ৪০৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৪০০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ৮টি বিভাগে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
একুশে সংবাদ/ই.প.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :